বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা হয়

বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা হয় এটি জানা একজন একটি সচেতন মেয়ের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চা পেটে আসলে একটি মেয়ের শারীরিক বা মানসিক ভাবে অনেক পরিবর্তন আসে যা আগে থেকে যেনে নেওয়া বা সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাচ্চা-পেটে-আসলে-কি-কি-সমস্যা

প্রতিটা মেয়ের জিবনে সব থেকে আনান্দের বা খুসির সংবাদ হলো যখন যে মা হতে চলেছে। অথচ এই মা হবার সময় তাকে অনেক সমস্যা বা কঠিন মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে সময় পার করতে হয়। আজকে আমাদের সম্পূর্ণ পোস্ট থেকে বাচ্চা পেটে আসলে কি সমস্যা বা কি করণীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানেবন।

পেজ সুচিপত্রঃ বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা হয়

বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা হয়

বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা হয় জানবেন এই পোষ্টের মাধ্যমে। বাচ্চা পেটে আসলে বা একটি মেয়ে যখন বাচ্চা কনসিভ করে তখন তার শরীরে হটাৎ বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়। ফলে মায়েরা তখন বিভিন্ন সমস্যা বা অসুবিধায় ভোগে। হটাৎ এই সমস্যাগুলো শুরু হবার ফলে অনেকে এর জন্যে প্রস্তুত থাকে না ফলে সমস্যাগুলো আরও কঠিন হয়ে দাড়ায়। তবে আপনি যদি আগে থেকে এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখেন তাহলে হয়তো আগেই সচেতন হতে পারবেন এসব সমস্যা থেকে। আসুন জেনেনি বাচ্চা পেটে আসলে কোনসব অসুবিধা হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়াঃ একটি গর্ভবতী মেয়ের সবথেকে প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হবে বমি বমি ভাব বা অনেক সময় বমি হতেও পারে। সাধারণত সকালে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
  • পিরিয়ড মিস হওয়া বা দেরিতে হওয়াঃ বাচ্চা পেটে আসলে সাধারণত এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। মেয়েদের বাচ্চা পেটে আসলে পিরিয়ড মিস হয়ে যায় বা অনেক সময় দেরিতে হয়।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব পায়ঃ বাচ্চা পেটে আসলে সাধারণত মেয়েরা এই সমস্যা মোকাবেলা করে। অতি ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পায়।
  • জ্বর হওয়াঃ বাচ্চা পেটে আসলে মেয়েদের জ্বর আসার মতো সমস্যা হতে পারে। সাধারণত এই সময়ে মেয়েদের শরীরে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন ঘটে এবং এর ফলে শরীরে জ্বর আসতে পারে।
  • স্তনে ব্যাথা ও বা ভারী হওয়াঃ মেয়েরা যখন গর্ভবতী হয় তখন তাদের শরীরে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তন হয়। বাচ্চাদের মাতৃদুগ্ধ খাওয়ার জন্যে স্তনে হরমোনের পরিবর্তন হয়। ফলে প্রথম প্রথম স্তনে ব্যাথা বা ভারি ভাবের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • পেটে সমস্যাঃ নতুন গরভবস্থায় পেটে নানান সমস্যা তৈরি হতে পারে যেমনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যাথা এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
  • জরায়ুতে ব্যাথঃ গর্ভধারনের প্রথম অবস্থায় জরায়ুতে ব্যাথা হতে পারে এটি স্বাভাবিক।
  •  হটাৎ হটাৎ মেজাজের পরিবর্তনঃ একটি মেয়ে যখন প্রথম গর্ভধারন করে তখন তার বিভিন্ন পরিবর্তন আসে সেটা হোক শারীরিক কিংবা মানসিক। তবে মানসিক পরিবর্তন টাও লক্ষ করা যায়। যেমনঃ হটাৎ ছোট খাটো বিষয়ে রেগে যাওয়া বা দুঃখ পাওয়ার মতো হটাৎ পরিবর্তন আসতে পারে।
  • রুচি পরিবর্তনঃ গর্ভবস্থায় মেয়েদের সব থেকে বড় সমস্যা হলো এই রুচির পরিবর্তন। পূর্বে যে খাবার গুলো খেতে আপনি পছন্দ করতেন সেগুলো পরে আর খেতে পারবেন না বা এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো আপনি খেতে পারবেন না রুচির পরিবর্তনের ফলে। 
ওপরের সকল সমস্যাগুলো একটি মেয়ে সাধারণত মোকাবেলা করে থাকে গর্ভস্থায়। এই সমস্যাগুলো সাধারণত দেখা যায় প্রথমদিকে। তবে কিছু কিছু সমস্যা যেগুলো পুরো গর্ভস্থায় মোকাবেলা করতে হয়। তবে ওপরের সমস্যাগুলো আগে থেকে না জানলে বা এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকলে হয়তো সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবেননা এবং অনেক সময় ভুল ওষুধ বা গর্ভবতী এটা না বুঝে এমন অনেক কিছু করে ফেলে যেটা সরাসরি খারাপ প্রভাব পরতে পারে গর্ভধারনে।

গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহের লক্ষণ সম্পর্কে সকল তথ্য জানবেন এই পোস্ট থেকে। দ্বিতীয় সপ্তাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই দ্বিতীয় সপ্তাহ পর থেকে আপনার ছোট্ট বাচ্চার প্রান তৈরি হবে। একজন মায়ের জন্যে এবং তার বাচ্চার জন্যে দ্বিতীয় সপ্তাহ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন আজকের এই পোস্ট থেকে।

জেহুতু এই সপ্তাহ পরই মায়ের পেটে প্রানের সঞ্চারন হয় এজন্যে এই সপ্তাহ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত শেষ পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে গর্ভধারনের সময় শুরু হয়। জেহুতু পরের সপ্তাহ থেকে বাচ্চার জীবন শুরু হবে তাই এই সপ্তাহ থেকে নিজের প্রতি একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। অবশই সাবধানে চলাচল এবং খাওয়া দাওয়া বিষয়টি ভালো রাখতে হবে। অতিরিক্ত পুষ্টি এবং রক্ত তৈরি হয় এমন জাতিয় খাবারগুলো বেশি করে খেতে হবে।

এই দ্বিতীয় সপ্তাহ পর থেকেয় বাচ্চা আপনার পেটে বাসা বানানোর জন্যে নিজেকে তৈরি করে ফেলবে। এর কিছুদিন পর বাচ্চা ভ্রুন থেকে বের হয়ে আপনার পেটে জায়গা নিবে এবং দীর্ঘ ৯মাস ধরে বাচ্চাটি ধিরে ধিরে বৃদ্ধি পাবে। আপনি যদি অন্য কোন অসুখের ওষুধ খান তাহলে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সেটি অবশ্যই আরেকবার ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন যে এই গর্ভঅবস্থায় এই ওষুধগুলো খাওয়া যাবে কিনা এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এমন অনেক ওষুধ আছে যা আমাদের অসুখ ঠিক করলেও গর্ভবতী অবস্থায় এটি আপনার জন্যে ক্ষতিকর হতে পারে।

গর্ভ ধারনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অবশ্যই মায়ের ওজন ঠিক রাখতে হবে। বাচ্চার ভালোর জন্যে অবশ্যই মায়ের সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সঠিক পুষ্টি জাতিয় খাবার সঠিক পরিমানে খেতে হবে এবং যে খাবারগুলো মায়ের ওজন সঠিক রাখবে সেই খাবারগুলো বেশি বেশি খেতে হবে। ওজন বেশি হলে এটি বাচ্চার জন্যে বিভিন্ন ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে ওজন যদি অতিরিক্ত কমও হয় তাহল এটি বাচ্চার জন্যে ক্ষতিকর হতে পারে। এজন্যে একজন মায়ের অবশ্যই দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সঠিক পরিমানে খাবার খেতে হবে এবং ওজন সঠিক স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রাখতে হবে।

মায়ের যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে অবশ্যই সেটি কমাতে হবে। কারণ পেটে থাকা বাচ্চার জন্যে এটি অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় মায়ের ওজন যদি বেশি থাকে তাহলে বাচ্চার জন্মের সময় নানান জটিলতা পহাতে হতে পারে। এছাড়া বাচ্চা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে বা প্রিম্যচুর বাচ্চা জন্ম গ্রহন করতে পারে। অনেক সময় এই ওজন বেশি থাকার ফলে অনেক বড় ক্ষতি যেমন মৃতস্রাব বা বাচ্চার জন্মের সময় নানা ট্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহন করতে পারে। এজন্যে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেয় একটি মায়ের উচিত তার ওজনের দিকে খেয়াল দেয়া এবং একটি সঠিক ওজনের মধ্যে নিজেকে রাখা।

দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মায়ের পাশাপাশি বাবারও অনেক দায়িত্ত বেড়ে যায়। এসময়ে বাবার উচিত গর্ভধারিণীকে সঠিক সময়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। গর্ভধারিণীর জন্যে অধিকপুষ্টি এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ জাতিয় খাবার সঠিক পরিমানে কিনে খাওয়ানো। এছাড়া দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ডাক্তার আয়রন জাতিয় খাবার খেতে বলে যা গর্ভধারিণীকে খাওয়ানো একজন বাচ্চার বাবার দায়িত্ব। একজন বাবার সবথেকে বড় দায়িত্ব তার স্ত্রির সঠিক যত্নও খেয়াল রাখা।

গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের লক্ষণ গুলো জানবেন আজকের এই পোস্টথেকে। এছাড়া তৃতীয় সপ্তাহে কি কি করা উচিত এবং কোনগুলো করা উচিত নয় সেসব সম্পর্কে সকল সঠিক তথ্য জানবেন এই পোস্ট থেকে। মুলত একটি মেয়ের জিবনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় এই গর্ভধারনের সময় এবং এসময়ে নানা বাধা বা নিয়মের মধ্যে দিয়ে সময় পার করতে হয়। গর্ভবতী অবস্থায় মায়েরা অনেক সমস্যাও মোকাবেলা করে থাকে। আসুন বিস্তারিত জেনেনি গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহ সম্পর্কে।

তৃতীয় সপ্তাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এসময়ে বাচ্চার ভ্রুন তৈরি হয়। বাইরে থেকে কিছু বুঝা না গেলেও আপনার পেটে মধ্যে কিন্তু ঠিকই বাচ্চার ভ্রুন তৈরি হচ্ছে। এই ভ্রুন থেকে আপনার বাচ্চা বের হবে এবং ৯মাস ধরে পেটে বড় হতে থাকবে। এই তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে ভ্রুন জরায়ুর গায়ে নিজেকে পুরপুরি গেথে নেয়। তবে এই সপ্তাহে আপনি বাইরে থেকে কোন পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেননা। 

এই সপ্তাহ পর্যন্ত বা এই সপ্তাহের আগ পর্যন্ত পিরিয়ড অনিমিয়ত হতে পারে। কিন্তু এই সপ্তাহ পর থেকে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবে যা আপনার গর্ভধারণকে নিশ্চিত করবে। এই তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মায়েদের শরীরে এক প্রকার হরমন তৈরি হয় যার ফলে এই পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। আপনি যদি নিশ্চিত না হন যে আপনি গর্ভবতী কি না তাহলে এই সপ্তাহ পর বা এই সপ্তাহে পরীক্ষা করতে পারেন টেস্ট কিট দিয়ে।

মুলত এই সপ্তাহ থেকে হরমোনটি উৎপন্ন হয় ফলে গর্ভধারন নিশ্চিত কিনা সেটা জানতে পারেন। এই হরমোনের কিছু অংশ প্রস্রাবের সাথে মিস্রিত হয় ফলে এই সপ্তাহ থেকে আপনি চাইলে টেস্ট কিট দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন আপনি গর্ভবতী কিনা। বাজার থেকে কিনা আনা কিট এই হরমোনটির বুঝার মাধ্যমে আপনাকে নিশ্চিত করবে আপনি গর্ভবতী কিনা।

এই সপ্তাহ পর থেকে যখন আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনি গর্ভবতী তারপর থেকে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং চেকআপ করবেন। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিলে এবং সে অনুযায়ী চললেয় আপনার বাচ্চা সুস্থ ও সঠিক ভাবে বেড়ে উঠবে। এই সময়ে অবশ্যই একটি মায়ের পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ খাবার বেশি বেশি খাওয়া উচিত সেদিকে নজর রাখবেন অবশ্যই। প্রতিনিয়ত চেকআপ এর মাধ্যমে মায়ের এবং বাচ্চার শরীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক অবস্থা জানতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী কি প্রয়োজনতা তা পুরন করতে পারবেন।
তবে অবশ্যই নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কারণ ওজন বেশি হলে বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের অনেক সমস্যা হতে পারে। গর্ভধারণের সময়ে এবং বাচ্চা প্রসবের সময়েও অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে এজন্যে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ওজন বেশি বা কম কোনটাই ঠিক নয়। নিয়মিয় ব্যায়াম এবং একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন এতে শরীর এবং মন দুটোয় ভালো থাকবে। সঠিক পরিমানে ফলমূল এবং শাকসবজি, মাছ ও মাংস সঠিক পরিমানে খেতে হবে। সব থেকে বড় টিপস সাবধানে চলাচল করতে হবে।

গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের শরীরের পরিবর্তন

গর্ভবতী হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহের শরীরের পরিবর্তন সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। গর্ভঅবস্থায় একটি মেয়ের শারীরিক বা মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে অনেকে আগে থেকে না জানার কারণে যখন এই সমস্যাগুলো শুরু হয় সে ভয় পেয়ে যেতে পারে বা ভুল পদক্ষেপ নিতে পারে। এজন্যে পূর্বে থেকে যেনে নেওয়া উচিত তৃতীয় সপ্তাহে শরীরে কি কি পরিবর্তন আসে।
গর্ভবতী-হওয়ার-তৃতীয়-সপ্তাহের-শরীরের-পরিবর্তন
  • স্বল্প পরিমানে রক্তপাত হতে পারে
  • স্তনে ব্যাথা বা ভারি ভাব হতে পারে
  • পেটে নানা সমস্যা যেমন কষ্টকাঠিন্য  বা হাল্কা পেটে ব্যাথা এবং গ্যাসের সমস্যা হতে পারে
  • পেটে ফলাভাব হতে পারে
  • হটাৎ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেটে পারে
  • হটাৎ মেজাজের পরিবর্তন
  • শরীরিক ভাবে বিভিন্ন পরিবর্তন আসতে পারে
ওপরের লক্ষণগুলো আপনি তৃতীয় সপ্তাহে দেখতে পাবেন। তবে ভয় পাবার কোন কারণ নেই এসব সমস্যা সাধারণত হয়ে থাকে। আপনি নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন আর যদি অধিক সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ মেডিকেল বা গায়নি ডাক্তারের কাছে যেতে। গর্ভঅবস্থায় খুব দেখেশুনে চলতে হবে এবং নিজের যত্ন নিতে হবে সম্পূর্ণ।

গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহের লক্ষণ জানবেন আজকের এই পোস্ট থেকে। গর্ভঅবস্থায় প্রত্যেকটি দিন এবং প্রত্যেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা সময় নিজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে এবং নিজের যত্ন নিতে হবে। চতুর্থ সপ্তাহে আরও অনেক পরিবর্তন হতে পারে যেগুলো অবশ্যই আপনার আগে থেকে যেনে নেওয়া উচিত। আসুন বিস্তারিত জেনেনি গর্ভবতী হওয়ার পর চতুর্থ সপ্তাহে কি কি করণীয় এবং লক্ষণসমূহ।

চতুর্থ সপ্তাহে এসেও আপনি বাইরে থেকে হয়তো পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেননা। কিন্তু আপনার পেটের মধ্যে অনেক কিছু তৈরি হয়ে জাচ্ছে। চতুর্থ সপ্তাহে ভ্রুন আপনার জরায়ুর সাথে নিজেকে পুরোপুরি গেথে নিবে এবং এরপর থেকে ধিরে ধিরে বড় হতে শুরু করবে। জেহুতু এই সপ্তাহে ভ্রুন অনেক ছোটকারে থাকে তাই বাইরে থেকে পেট দেখে কিছু আন্দাজ করতে পারেননা। ছোট হলেও আপনার পেটের মধ্যে ঠিকই এর অস্তিত্ব রয়েছে এজন্যে অবশ্যই অনেক সাবধানতা অবলম্বন এবং কিছু জিনিস ত্যাগ করতে হবে। 

এই সময়ে ধুম্পানের ধোয়া থেকে দূরে থাকা অত্যান্ত জরুরি কারণ এটি আপনার পেটে থাকা ভ্রুনের এবং বাচ্চারও ক্ষতি করতে পারে। এই সময়ে আপনার শরীরে এক প্রকার হরমোন উৎপন্ন হবে ফলে আপনার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এসময়ে যদি গর্ভবতী পরীক্ষা করেন তাহলে একদম সঠিক ফলাফল পাবেন কারণ উৎপন্ন হরমনই আপনার গর্ভধারণ নিশ্চিত করবে। 

এই সপ্তাহেও আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শে থাকতে হবে কারণ এ সময় ভ্রুন থেকে বাচ্চা তৈরি হওয়া শুরু হয়। সাথে সাথে অবশ্যই পুষ্টি সম্পূর্ণ খাদ্য এবং যেসব খাদ্য শরীরে রক্ত উৎপন্ন করে এমন খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। সর্বদা ওজনের ওপর খেয়াল রাখবেন কারন গর্ভঅবস্থায় এবং বাচ্চা হবার সময় এটি অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। প্রতিদিন খাবারের সময় অন্তত ৪০০ গ্রাম ফলমূল এবং সাথে অবশ্যই বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে।
অবশ্যই সঠিক পরিমানে পানি পান করতে হবে এটা অত্যান্ত জরুরি। শরীর ঠিক রাখতে অবশ্যই শরীরচর্চা এবং মেডিটেশন করতে পারেন। তবে সব প্রকার ব্যায়াম করবেন না এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। অবশ্যই আগে যেনে নিবেন গর্ভঅবস্থায় কোন ব্যায়ামগুলো করা উচিত। সবসময় হাসিখুসি এবং ভালো থাকার চেষ্টা করবেন এটি আপনার বাচ্চার ওপর ভালো প্রভাব ফেলবে।

গর্ভের বাচ্চা নড়াচড়া করে কোন মাসে

গর্ভের বাচ্চা নড়াচড়া করে কোন মাসে জানবেন এই পোস্ট থেকে। একটি মায়ের জিবনে সব থেকে বড় সপ্ন মা হওয়া। কিন্তু মা হবার আগেই গর্ভঅবস্থায় কি কি হতে পারে তা অবশ্যই আপনার যেনে নেওয়া উচিত। একজন মা গর্ভধারন করার পর তিনি আশায় বসে থাকেন কবে গর্ভের বাচ্চা নড়াচড়া করবে। আসুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনেনি।
গর্ভের-বাচ্চা-নড়াচড়া-করে-কোন-মাসে
পেটে প্রথমে একটি ভ্রুন উৎপন্ন হয় তারপর এটি ধিরে দিরে বৃদ্ধি হতে শুরু করে। তবে ভ্রুন থেকে বাচ্চা তৈরি হতে একটু সময় লাগে। বাচ্চা তৈরি হবার পর যখন সঠিক পুষ্টি পায় এবং একটু বড় হয় তখন বাচ্চাটি নড়াচড়া করে। তবে এই নড়াচড়া করতে ২০ সপ্তাহের ওপর সময় লাগতে পারে। যদি এর আগেও নড়াচড়া না করে তাহলেও এটা স্বাভাবিক। অনেক সময় এর থেকে বেশি সময়ও লাগতে পারে। তবে গর্ভধারনের ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা নড়াচড়া না করা এটা স্বাভাবিক। তবে এরপরে অবশ্যই বাচ্চার নড়াচড়া আপনি অবশ্যই বুজতে পারবেন। 

লেখক মন্তব্য - বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা হয়

বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা হয় তা আমরা ওপরে আলচনা করেছি। আমাদের সম্পূর্ণ পোস্ট জুরে রয়েছে গর্ভঅবস্থায় কি কি সমস্যা হতে পারে এবং কি কি আপনার করা উচিত। অবশ্যই একজন মায়ের এই সময়ে অনেক সচেতন থাকা উচিত এবং নিজের যত্ন নেয়া উচিত। আমাদের পোস্ট পড়ার মাধ্যমে গর্ভঅবস্থা সম্পর্কে সকল সঠিক তথ্য পাবেন। 

এসময়ে শুধু মায়েরই দায়িত্ব থাকে না বাবা হিসেবেও অনেকের অনেক দায়িত্ব থাকে। গর্ভধারিনির অবশ্যই যত্ন নেয়া উচিত এবং তার জন্যে সঠিক খাবার বাবস্থা করা উচিত। সময় মতো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং ডাক্তার যা বলবে সে অনুযায়ী তার যত্ন নিতে হবে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে বুঝেছেন গর্ভঅবস্থার প্রথম দিকে কি করা উচিত এবং বাচ্চা পেটে আসলে কি কি সমস্যা তা সম্পর্কে সঠিক ধারনা পেয়েছেন। ধন্যবাদ পাঠক।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url