বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয় গোপন টিপস
বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ৯ বছর বয়সের মধ্যে দাঁত উঠে। নতুন দাঁত উঠার সময় বাচ্চারা নানা সমস্যায় হয়। আসুন জেনেনি বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত উঠার বয়সে বা যখন নতুন নতুন দাঁত গজায় তখন তাদের অনেক বিরক্ত ভাব দেখা যায়। দাঁত উঠার সময় বাচ্চাদের নানা সমস্যা হতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখেয় আজকের পোস্ট লিখা হলো। এই পোস্ট থেকে সঠিক ধারনা পাবেন বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয় কি
সুচিপত্র ঃ বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয় বলতে তখন বাচ্চাদের নতুন নতুন দাঁত গজায় ফলে তাদের
দাত উঠার জায়গায় অনেক ব্যাথা বা নানা সমস্যা হতে পারে। ছোট বাচ্চারা তো কথা বলতে
পারে না ফলে হয়তো আপনাকে বুঝাতে পারবে তাদের কতটা সমস্যা হচ্ছে। এজন্যে আপনার আগে
থেকে যেনে নেওয়া উচিত যে বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয় গুলো কি কি এবং কি করলে
তারা সমস্যা পোহাবে না।
- নতুন দাঁত উঠার ফলে সেখানে বাচ্চাদের অনেক ব্যাথা অনুভত হতে পারে। বাচ্চার যদি অনেক ব্যাথা হয় তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- বাচ্চাদের পেটের ক্ষুধা কমে যেতে পারে যদি একদম ই না খেতে পারে তাহলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে
- নতুন দাঁত উঠার সময় বাচ্চাদের মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা ঝরে ফলে টিসু বা কাপর দিয়ে সব সময় পরিস্কার করে দিতে হবে।
- অনেক বাচ্চা শুধু কান্না করতে পারে বা খিটখিটে হয়ে যেতে পারে এসময়, তাদের একটু বেশি যত্ন নিতে হবে
- বাচ্চাদের জ্বর বা বমিও হতে পারে তাহলে দ্রুতই শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে
- শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে নতুন দাঁত উঠার সময় মিষ্টি জাতিয় খাবার খাওয়ানো উচিত নয়
ওপরে বাচ্চাদের নতুন দাঁত উঠার সময় কি কি করণীয় তা আলোচনা করা হয়ছে। জিবনে
প্রথমবার দাঁত উঠার ফলে তারা ওই সময়টাতে একটু বেশিয় কান্না বা রাগ করতে পারে।
সেহুতু সময়টা বুঝে অবশ্যই তাদের একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। বাচ্চাদের সঠিক
পরিমানে পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ খাবার খাওয়াতে হবে। বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় অবশ্যই
ওপরের নিয়ম গুলো মানবেন।
বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় কি কি সমস্যা হয়
বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় কি কি সমস্যা হয় আসুন জেনেনি। জেহুতু বাচ্চারা অনেক ছোট
হয় কথা বলতে বা আমাদের বুঝাতে পারেনা। এজন্যে পূর্বে থেকেয় আমাদের সঠিক জ্ঞ্যান
থাকা উচিত যে বাচ্চাররা কি কি সমস্যা ভুগতে পারে। আগে থেকে যদি আমরা জেনেনি তাহলে
সেসময় বাচ্চারা কি চাচ্ছে বা তাদের কিভাবে যত্ন নেওয়া উচিত তা বুঝতে পারবেন। তো
আসুন জেনেনি বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় কি কি সমস্যা হয়।
- দাতের মাড়ি ব্যাথা
- অনিদ্রা বা ব্যাথার কারণে সারা রাত জেগে থাকতে পারে
- হাল্কা জ্বর হতে পারে
- খিটখিটে ভাব হতে পারে
- চিবানো বেড়ে যাওয়া
- মেজাজের পরিবর্তন হতে পারে
- বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে
- কান্নাকাটির পরিমান বেড়ে যায়
- অতিরিক্ত লালা পরে মুখ থেকে
অপরক্ত আলচিত কথা গুলো বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় হয়ে থাকে। সাধারণত ৬ মাস থেকে
শুরু হতে পারে এই দাঁত উঠার প্রক্রিয়া। দাঁত উঠার এই সময়ে বাচ্চাদের সঠিক যত্ন
ও সঠিক পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এসময় বাচ্চাদের মেজাজের পরিবর্তন হয় ফলে
বাচ্চাদের সাথে কোন বিরুপ আচরন করা একদম ঠিক হবেনা। স্বাভাবিক ভাবে বাচ্চাদের
দাঁত উঠার প্রক্রিয়া এভাবেই সম্পূর্ণ হবে।
বাচ্চাদের দাঁত উঠার লক্ষণ
বাচ্চাদের দাঁত উঠার লক্ষণ কি কি তা জানেবন আজকের এই পোস্ট থেকে। বাচ্চাদের দাঁত
উঠার বয়স থাকে কিন্তু অনেকের আবার বয়স হওয়া সত্ত্বেও দাত উঠতে দেরি হয় বা দাঁত
উঠা শুরু হয়ে যায় কিন্তু পরিবারের মানুষ বুজতে পারে না যে বাচ্চার দাতঁ উঠা শুরু
হয়ছে। এজন্যে আপনাকে আগে জানা উচিত বাচ্চাদের দাঁত উঠার লক্ষণ সমুহু।
বাচ্চাদের দাঁত উঠার পূর্বে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় জেগুলা পেলে বুঝে জাবেন যে
বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় হয়ছে। বাচ্চারা কাছে যেটা পাবে সেটা চিবতে শুরু করে।
সবসময় খিটখিটে ভাব থাকে। অতিরিক্ত কান্নাকাটি করবে এবং সঠিক ভাবে ঘুম না আসতে
পারে। দাঁত উঠার লক্ষণ হিসেবে জ্বর আসতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। এই লক্ষণ
গুলো বাচ্চাদের প্রকাশ পেলে বুঝবেন সেগুলো দাঁত উঠার লক্ষণ।
শিশুর দাঁত উঠার সঠিক সময়
শিশুর দাঁত উঠার সঠিক সময় রয়েছে। সময়ের পূর্বে শিশুর দাঁত উঠবে না। শিশুর বয়স
হওয়ার পূর্বেই যদি আপনারা চিন্তা শুরু করেন বা দুশ্চিন্তা করেন যে কবে দাঁত উঠবে
বা দাঁত উঠছে না কেন তাহলে সেটি হবে অন্যথা চিন্তা। কারণ শিশুর দাঁত উঠার সঠিক
সময় রয়েছে তা আপনাদের অবশ্যই মাথা রাখতে হবে। আসুন জেনেনি শিশুর দাঁত উঠার সঠিক
সময় সম্পর্কে।
বাচ্চাদের সাধারণত ৬ মাস বয়স থেকে দাঁত উঠা শুরু হয় যেটা দাঁত উঠার সঠিক সময়। তবে
এমন অনেক বাচ্চা আছে যাদের দাঁত উঠা শুরু হতে একটু সময় লাগতে পারে। তবে ৬ থেকে ৯
মাসের মধ্যে শিশুর দাঁত উঠা শুরু হয়ে যায়। যদি এর চেয়ে বেশি দেরি হয় তাহলে অবশ্যই
কোন কারণ আছে, দুশ্চিন্তা করার দরকার নাই শিশু বিসেসজ্ঞর পরামর্শ নিতে পারেন
এক্ষেত্রে। আর দেরি হওয়ার কারণ জানতে আমাদের পোস্ট পড়ুন।
বাচ্চাদের দাঁত না উঠার কারণ
বাচ্চাদের দাঁত না উঠার কারণ সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন। সঠিক সময়
পার হয়ে জাওয়ার পরও অনেক বাচ্চাদের দাঁত উঠা শুরু হয়না। ফলে বাচ্চার পরিবার এটা
নিয়ে চিন্তিত থাকে যে কেন দাঁত উঠছে না। দাঁত না উঠার অনেক কারণ থাকতে পারে।
আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন বাচ্চাদের দাঁত না উঠার কারণ।
বাচ্চাদের দাঁত না উঠার কারণ এর মধ্যে সব থেকে বড় কারণ হতে পারে বংশগত কারণ।
তাদের বংশে না ডিএনএ
তে যদি কার এমন সমস্যা পূর্বে থেকে থাকে তাহলে বাচ্চার এই সমস্যা হতে পারে দাঁত
না উঠা বা উঠতে অনেক দেরি হওয়া। এছাড়া যদি কোন বাচ্চা সঠিক সময়ের পূর্বে
জন্মগ্রহন করে তাহলে সে বাচ্চার দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে।
এছাড়া অনেক বাচ্চার জন্মের সময় ওজন অনেক কম থাকে এটিও একটি কারণ বাচ্চাদের সঠিক
সময়ে দাঁত না উঠার। তবে এই বিষয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করা উচিত কারণ দেরি হলেও
অবশ্যই বাচ্চার দাঁত উঠবে। তবে অনেক সময় অনেক পুষ্টিগুণ এর অভাবে বাচ্চাদের দাঁত
উঠতে দেরি হয়। তবে সঠিক সময়ে সেই পুতিগুণ সম্পূর্ণ খাবার খাওয়ালে বাচ্চার দাঁত
উঠা দ্রুত শুরু হয়।
কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয়
কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় জানবেন এই পোস্ট থেকে। ওপরে আমরা আলোচনা
করেছি বাচ্চাদের দাঁত না উঠার কারণ নিয়ে। তবে সেই কারনের মধ্যে অন্যতম কারণ ছিল
সঠিক পুষ্টিগুণ এর অভাবে। বাচ্চাদের দাঁত উঠার বয়সে যদি সঠিক পুষ্টিগুণ না থাকে
তাহলে তো অবশ্যই শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হবে। আসুন জেনেনি কোন সেসব
পুষ্টিগুণ ।
বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এর অভাবে সঠিক বয়সে শিশুদের দাঁত না উঠতে পারে। জেমনঃ
ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এই পুস্তিগুনের অভাবে
বাচ্চাদের দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে। তবে বাচ্চাদের আরও অপুস্তিজনিত সমস্যার কারণে
দাঁত না উঠতে পারে। এজন্যে বাচ্চাদের সঠিক বয়সে সঠিক পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করা উচিত
এবং পুষ্টি সম্পূর্ণ খাবার খাওয়ানো উচিত।
শিশুর দাঁত ব্যথা দূর করার উপায়
শিশুর দাঁত ব্যথা দূর করার উপায় জেনেনিন। শিশু দাঁত উঠার সময় বা দাঁত উঠার পর
অনেক ব্যাথা অনুভূত হতে পারে। অনেক সময় বাচ্চারা এই ব্যাথা সহ্য করতে পারে না।
অনেক ব্যাথা করে এজন্যে কান্না করে এবং বাবা মা অনেক সমস্যার মধ্যে পরে যায়।
এজন্যে যেনে নিতে হবে শিশুর দাঁত ব্যথা দুর করতে আমাদের কি কি করা প্রয়োজন। আসুন
জেনেনি
শিশুর দাঁত উঠার সময় অনেক ব্যাথা হয় এবং অনেক কান্না করে। এছাড়া দাঁত উঠার পর পর
বাচ্চারা শুধু কিছু না কিছু চিবোতে চায়। কিন্তু তাদের চিবানোর জন্যেও সঠিক জিনিস
দিতে হবে। দাত উঠার ব্যথা দূর করতে সুতার পরিস্কার কাপর একটু ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে
দিতে পারেন এরপর বাচ্চার যখন ব্যাথা হবে বা চিবোতে চাইবে তখন ওই কাপড়টি দিতে
পারেন।
ঠাণ্ডা ভিজে কাপর বলে শিশুরা দাতে অনেক আরাম পাবে। শিশুর যে অস্বস্তি অনুভুতি তা
আর থাকবে না। দাঁত উঠার পর অবশ্যই সেই দাঁত ছোট বা নতুন হলেও এটার যত্ন নিতে হবে।
বাচ্চাদের অনেক ব্রাশ পাওয়া যায় যা নরম ব্রিসল যুক্ত। এই ব্রাশ ব্যবহার করে আপনি
শিশুর দাঁত পরিস্কার করে দিতে পারেন। বাচ্চার নতুন দাঁত নিয়ে সকল তথ্য জানতে
আমাদের পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
লেখক মন্তব্য - বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয় গুলো ওপরে আলোচনা করা হয়ছে। বাচ্চাদের দাঁত
উঠার বয়স অনেক সেন্সিতিভ একটি সময়। এই সময় বাচ্চাদের অধিক খেয়াল রাখতে হয় এবং
বেশি বেশি যত্ন নিতে হয়। বাচ্চাদের ব্যাথার দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে ব্যাথা দূর
করার জন্যে ঠাণ্ডা সুতার কাপরের মাধ্যমে দাত দিয়ে চিবোতে দিন শান্তি পাবে।
বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় অনেক ব্যাথা বা কষ্ট হয় ফলে অনেক ছোট খাট অসুখ যেমন জ্বর
বা বমি হতে পারে সেক্ষেত্রে না ঘাবড়ে গিয়ে বাচ্চার যত্ন নিতে হবে। বাচ্চা যেটা
চাই অবশ্যই সেটা করতে দিতে হবে। বাচ্চাদের অবশ্যই পুষ্টিগুণ সমূহ খাবার গুলো দিতে
হবে ফলে দাঁত যেন সঠিক সময়ে উঠে এবং অন্য কোন রকমের অপুষ্টিতে না ভোগে। ধন্যবাদ
পাঠক আমাদের সাথে থাকার জন্যে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url