বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা যখন বাচ্চাদের
তখন একটু সতর্ক হয়ে সেরেলাকের উপকারিতা অপকারিতা এবং কিভাবে কখন খাওয়ানো উচিত সে
সম্পর্কে প্রথমে আমদের জানা উচিত।
সেরেলাক বাচ্চাদের জন্যে অনেক উপকারি তবে এমন অনেক কিছু আছে যা যেনে নেওয়া উচিত
বাচ্চাদের খাওয়ানর পূর্বে। আজকের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন সেরেলাক সম্পর্কিত
সকল জানা অজানা তথ্য সম্পর্কে। আসুন বিস্তারিত জেনেনি
পেজ সুচিপত্রঃ বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানবো এই পোস্ট থেকে। অনেক সময় দেখা
যাই ছোট বয়সেই বাচ্চারা ঠিক মতো দুধ খেতে পাইনা বা বাচ্চাদের খিদা বা পুষ্টির
চাহিদা পুরন করতে বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ানো হয়। মাতৃ দুগ্ধের পরিপূরক হিসেবে
বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ানো হয়। তবে এটি কখনই মাতৃ দুগ্ধের বিকল্প হতে পারেনা ।
আসুন যেনে নেওয়া জাক বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ার উপকারিতা।
সেরেলাক একটি খাদ্যশস্য জাতিয় একটি খাবার যা মাতৃ দুগ্ধের পরিপূরক হিসেবে কাজ
করে। সেরেলাক বাচ্চাদেরর অতিরিক্ত পুষ্টি যেমনঃ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন আয়রন প্রদান
করার জন্যে তৈরি করা হয়েছে। এটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন বাচ্চাদের হজমে করতে
এবং গিলে ফেলতে সুবিধা হয়। সেরেলাক বাচ্চাদের জন্যে সুবিধাজনক এবং উপকারি খাবার।
বাচ্চাদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সেরেলাক পরিপূর্ণ একটি খাবার।
সেরেলাক বাচ্চাদের কতবার খাওয়ানো উচিত
সেরেলাক বাচ্চাদের কতবার খাওয়ানো উচিত তা অবশ্যই আমাদের জানা উচিত। সেরেলাক একটি
পুষ্টিজনিত মাতৃদুগ্ধ এর পরিপূরক খাবার। তবে বাচ্চারা প্রথম কোন খাবার গ্রহন করে
তাই আমাদের উচিত নিয়ম মেনে আস্তে ধিরে কম করে বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ানোর।
বাচ্চারা অনেক ছোট হয় তাই তাদের ক্ষেত্রে নিয়ম একটু বেসিই। আসুন বিস্তারিত জেনেনি
বাচ্চাদের সেরেলাক কতবার খাওয়ানো উচিত।
সাধারণত ৬ মাস বয়সের পর থেকে বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ানো উচিত। এর পূর্বে
বাচ্চাদের শুধু মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো উচিত। তবে কোন বাচ্চা যদি দুধ না পায় সে
ক্ষেত্রে সঠিক পুষ্টি এবং প্রদানের জন্যে সেরেলাক খাওয়ানো যাবে তবে নিয়ম
করে। বাচ্চার যখন ছয় মাস বয়স হবে প্রথম দিকে দিনে একবার সকালে সেরেলাক খাওয়ানো
উচিত এবং আস্তে আস্তে অভ্যাস হতে থাকলে দুই থেকে তিনবার সেরেলাক খাওয়াতে পারবেন
দিনে।
তবে যেসব বাচ্চারা ছয় মাস পুরবেই অর্থাৎ দুধ পাইনা তাদেরও খাওয়ানো যাবে। অনেক
পাতলা করে তৈরি করতে হবে এসব বাচ্চাদের জন্যে এবং প্রথমে দিনে একবার অল্প করে করে
খাওয়াতে হবে। তবে বাচ্চার খিদা অনুযায়ী দুয়বার খাওয়ানো যেতে পারে। তবে এটা কখনই
মাতৃ দুগ্ধের সমান পুষ্টি দিতে পারবেনা। তাই উচিত হবে ঠিক মতো দুধ খাওয়ানো এবং
দরকার মতো সেরেলাক খাওয়ানো।
সেরেলাক খেলে কি বাচ্চারা মোটা হয়
সেরেলাক খেলে কি বাচ্চারা মোটা হয় এটা অনেকে চিন্তা করেন। সেরেলাক একটি পুষ্টি
সম্পর্কিত খাবার। যা আপনার বাচ্চাকে সঠিক পরিমানে পুষ্টি সরবারাহ করে থাকে। তবে
বিষয়টা যখন বাচ্চাদের তখন পিতামাতার একটু চিন্তা থাকেই। তবে সেরেলাক ওজন বৃদ্ধির
জন্যে তৈরি হয়নি।আসুন যেনে নেওয়া জাক সেরেলাক খেলে কি বাচ্চারা মোটা হয়।
সাধারণত সেরেলাক খেলে বাচ্চারা মোটা হয়না। অনেকে এটা নিয়ে চিন্তিত থাকেন যে
সেরেলাক খাওয়ালে বাচ্চারা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাবে নাকি। তবে বাচ্চাদের যদি বেশি
বেশি সেরেলাক খাওয়ানো হয় এর ফলে প্রয়জনের চেয়ে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ হয়ে যাবে।
অতিরিক্ত ক্যালোরির ফলে আপনার বাচ্চা মোটা হয়ে যেতে পারে। আপনার উচিত হবে সঠিক
নিয়মে সঠিক পরিমানে বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ানো।
সেরেলাক কোনটা ভালো হবে
সেরেলাক কোনটা ভালো হবে এটা অনেক ভাবার বিষয়। কারণ বিষয়টা যখন বাচ্চাদের তখন
অবশ্যই সঠিক টাই বেছে নিতে হবে। বর্তমানে বাজারে অনেক প্রকার এর সেরেলাক পাওয়া
যাই যারা দাবি করে তাদের সেরেলাক টাই সব থেকে ভালো বাচ্চাদের জন্যে এবং অধিক
পুষ্টি সম্পূর্ণ। তবে সবগুলো তো আর সঠিক নই বা বাচ্চাদের জন্যে উপকারি নই। আসুন
জেনেনি সেরেলাক কোনটা ভালো।
বাজারের পাওয়া যায় এমন সেরেলাক এর মধ্যে বর্তমানে নেসলে সেরেলাক অনেক ভালো এবং
পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ। আপনার বাচ্চার জন্যে এই পণ্যটি বেছে নিতে পারেন। তবে
বর্তমানে হোমমেড সেরেলাক সব থেকে ভালো। কারণ বাজারের পন্যের মধ্যে অনেক সময় অনেক
ভেজাল বা কেমিক্যাল থাকতে পারে যা বাচ্চাদের ক্ষতি করতে পারে। তাই হোমমেড সেরেলাক
সব থেকে ভালো হবে বাচ্চাদের জন্যে।
হোমমেড সেরেলাক এর উপকারিতা
হোমমেড সেরেলাক এর উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। আপনার বাচ্চার জন্যে যা যা দরকার সকল
প্রকার পুষ্টিগুণ থাকবে এই হোমমেড সেরেলাকে। জেহুতু সেরেলাক বাসায় তৈরি করবেন ফলে
আপনি নিজেয় বুজতে পারবেন এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আর বাসায় তৈরি ফলে এতে কোন
ক্ষতিকর কিছু থাকেনা। ফলে সেরেলাক এর সম্পূর্ণ উপকারিতা বাচ্চা পাবে কোন ক্ষতি
ছারায়। আসুন যেনেনি হোমমেড সেরেলাক এর উপকারিতা।
-
এতে থাকা আয়োডিন, কারবহায়ড্রেড ফায়বার বাচ্চার রক্ত স্বল্পতা দূর করে এবং
দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
-
ফায়বার ও আয়োডিন থাকায় ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ দূর করতে প্রতিরোধ করে
- হজমে সাহায্য করে
-
প্রোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম কপার জিংক থাকে যা বাচ্চাদের হাড় ও
দাতের গঠনে সাহায্য করে
-
লৌহ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম থাকায় মস্তিস্কের বিকাশ ঘটায় এবং রুচি
বৃদ্ধি করে
-
ফসফরাস, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং শক্তি
বৃদ্ধি করে
- শ্বাসকষ্ট দূর করে
-
আঁশ জাতিয় উপাদান থাকে যা দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়
-
এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে যা ত্বক সতেজ রাখে
- হার্ট ভালো রাখে
- লিভার ভালো রাখে
-
কারবহায়ড্রেড ও শর্করা থাকে যা দেহে পানির পরিমান ঠিক রাখে
উপরে আলচিত উপকারিতা পাবে বাচ্চারা এই হোমমেড সেরেলাক থেকে। বাজার থেকে কিনে
আনা সেরেলাক আপনার বাচ্চার জন্যে উপকারি হবে কিন্তু হোমমেড সেরেলাকের উপকারিতা
অনেক বেশি। জেহুতু সেরেলাকটি বাসায় তৈরি করবেন সেহুতু এর মধ্যে কোন কেমিক্যাল
ব্যবহার হবেনা। এজন্যে আপনার বাচ্চার জন্যে হোমমেড সেরেলাক সব থেকে বেশি উপকারি
হবে।
হোমমেড সেরেলাক এর উপাদান
হোমমেড সেরেলাক এর উপাদান গুলো জানবেন এই পোস্ট থেকে। আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন
হোমমেড সেরেলাক এর উপকারি দিকগুলো। তবে হোমমেড সেরেলাক এর মধ্যে কি কি উপাদান
থাকে বা কোন উপাদানগুলো দিয়ে বানাবেন হোমমেড সেরেলাক সেটা জানাবো আজকের এই পোস্ট
থেকে। আসুন বিস্তারিত জেনেনি হোমমেড সেরেলাক এর উপাদান সমূহ।
-
চালঃ বাসমতী, পোলাওচাল, নাজিরসাইল চাল, লাল চাল
-
ডালঃ ছোলার ডাল, মশুর ডাল, মটর ডাল, মুগ ডাল, এংকর ডাল, মাশকালাই ডাল,
মুগ ডাল
-
বাদামঃ পেস্তা বাদাম, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম
- খেজুর
- ভুট্টা
- গম
- সাগুদানা
উপরোক্ত উপাদান গুলো দিয়ে খুব সহজে বাসায় বানিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার বাচ্চার
জন্যে সঠিক পুষ্টি গুণ সম্পূর্ণ হোমমেড সেরেলাক। প্রতিদিন এর খাদ্যতালিকায়
রাখতে পারেন এই হোমমেড সেরেলাক ফলে আপনার বাচ্চা পাবে সঠিক পুষ্টি ও ভেজাল
মুক্ত খাবার। জেহুতু বাসায় বানাবেন তাই এটি ভেজাল, কেমিক্যাল, ফ্লেভার ও রঙ
মুক্ত। নিশ্চিন্তে বাচ্চাকে সঠিক পুষ্টি প্রদান করুন।
হোমমেড সেরেলাক রেসিপি - হোমমেড সেরেলাক বানানোর নিয়ম
হোমমেড সেরেলাক রেসিপি জানুন আজকের এই পোস্ট থেকে। বাচ্চাদের সঠিক পুষ্টিগুণ
প্রদান করতে সেরেলাক খাওয়ানো উচিত। কিন্তু বাজার থেকে কেমিক্যাল যুক্ত সেরেলাক না
কিনে বাসায় বানিয়ে ফেলুন আপনার বাচ্চার জন্যে সঠিক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ হোমমেড
সেরেলাক। যা খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চা পুরপুরি সুস্থ এবং শক্তিশালী পুষ্টি
সম্পূর্ণ হবে। আসুন হোমমেড সেরেলাক রেসিপি জেনেনি
কোন কোন উপাদান কটটুকু নিবেনঃ
- লালচাল দেরকাপ
- বুটের ডাল এক কাপ
- মাষকালায় ডাল এক কাপ
- মসুর ডাল এক কাপ
- ভাজা ছোলা এক কাপ
- বুটের ডাল আধা কাপ
- ভাঙ্গা গম এক কাপ
- ভুট্টা দানা আধা কাপ
- সাবুদানা আধা কাপ
- এলাচ দানা সাত থেকে আটটি
- কাজুবাদাম আধা কাপ
- কাঠবাদাম আধাকাপ
জেভাবে তৈরি করবেন। বাদাম গুলো আর এলাচ বাদে সব উপাদান সমূহ রাতে পানিতে ভিজিয়ে
রাখুন। সকালে উপাদান গুলো ধুয়ে শুকিয়ে নিন ভালো ভাবে। এরপর চাল গুলো ভাজতে
থাকুন যতক্ষণ না সেগুলো ফুলে উঠছে। ডাল গুলো ও গম মুচমুচে এবং বাদামি রঙ না
হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ভুট্টা ভেজে নিন জতখন না সেটা মুচমচে হচ্ছে। সাবুদানা ও
শুকনো করে ভেজে নিন। কাজুবাদাম ভেজে নিন
কাঠবাদাম ও এলাচ ঘ্রান না ছরান পর্যন্ত ভাজুন। সবগুলো উপাদান এবার স্বাভাবিক
তাপমাত্রা হওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। এবার সবগুলো উপাদান ভালোভাবে পিশে গুরা করে নিন
এক্ষেত্রে ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই ভালো ভাবে গুরা করবেন যেন
বাচ্চাদের খেতে অসুবিধা না হয়। এভাবে বানিয়ে ফেলতে পারেন হোমমেড সেরেলাক যা
বতলজাত করে রেখে দিতে পারেন এবং বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবেন দীর্ঘদিন।
সেরেলাক এর পার্শপ্রতিক্রিয়া - সেরেলাক এর অপকারিতা
সেরেলাক এর পার্শপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের যেনে নেওয়া উচিত। জেহুতু
এটা ছোট বাচ্চাদের জন্যে সেহুতু সতর্ক তো থাকতেই হবে। তবে সেরেলাক এর তেমন
কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। জেহুতু এটি বাচ্চাদের জন্যে তৈরি তাই আর মধ্যে
তেমন কোন কেমিক্যাল বা রঙ এসব ব্যবহার করা হয় না। বাচ্চাদের জন্যে একদম নিখুত
একটি খাবার এই সেরেলাক।
সেরেলাক বাচ্চাদের আসক্ত করেনা। তবে সেরেলাক এর মধ্যে উচ্চ মাত্রায় চিনি
পাওয়া যায় যা বাচ্চার স্থুলতা বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত পরিমানে সেরেলাক
খেলে এতে থাকা শর্করার ফলে বাচ্চা অতিরিক্ত মোটা হয়ে যেতে পারে। তবে সঠিক নিয়ম
মেনে সেরেলাক খাওয়ালে তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া পাবেন না সেরেলাকে। সেরেলাক
সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
সেরেলাক এর বিকল্প কি আছে
সেরেলাক এর বিকল্প কি আছে? উত্তর হলো হ্যাঁ সেরেল এর বিকল্প রয়েছে। সেরেলাক
বাচ্চাদের সঠিক পুষ্টিগুণ সরবারাহ করে এবং খিদা নিবারন করে। এরকম আরও খাদ্য রয়েছে
জেগুলা বাচ্চার খিদে নিবারন এবং পুষ্টি সরবারাহ করে। আপনি জদি চান সেরেলাক না
খাইয়ে এই খাদ্যগুলো খাওয়াতে পারবেন। আসুন জেনেনি সেরেলাক এর বিকল্প
সেরেলাক আবিস্কার এর অনেক আগে থেকে বাচ্চাদের পুষ্টির জন্যে নানান খাদ্য তৈরি করা
হয় জেগুলো বাচ্চাদের পুতিগুণ এবং বাচ্চাদের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়। ছোট ছোট করে
গাজর কেটে সেগুলোর মধ্যে ডাল, আলু, চাল এগুলো সিদ্ধ করে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন।
এছাড়া বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে পাতলা করে খিচুরি রান্না করে অল্প করে বাচ্চাদের
খাওয়াতে পারেন।
লেখক মন্তব্য - বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের সেরেলাক খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। আপনি নিশ্চিন্তে বাচ্চাকে
সেরেলাক খাওয়াতে পারেন। সেরেলাক খাওয়ানর পরে আর কোন চিন্তা করতে হবেনা বাচ্চার
পুষ্টি বা বাচ্চার খিদে নিয়ে। সেরেলাকে যেসব পুষ্টি রয়েছে তা একটি বাচ্চার
জন্যে যথেষ্ট। বাচ্চা বয়সে সিসুর ৯০ শতাংশ মস্তিস্ক বৃদ্ধি পায়। আর সেরেলাক
খাওয়ার ফলে তা সঠিক ভাবে বৃদ্ধি পাবে এটা নিশ্চিত থাকুন।
তবে সঠিক নিয়ম মেনে অবশ্যই সঠিক পরিমানে খাওয়াতে হবে। বেশি পুষ্টির আশায় অতিরিক্ত
সেরেলাক খাইয়ে আবার কোন সমস্যা তৈরি করেন না। মনে রাখবেন মাতৃ দুগ্ধের মতো পুষ্টি
কিন্তু সেরেলাক দিতে পারবেনা। বাচ্চাদের অবশ্যই মাতৃদুগ্ধ খাওয়াতে হবে। দুধের
পাশাপাশি সেরেলাক খাওয়াতে পারেন। এতে বাচ্চা খাওয়া শিখবে আর পুষ্টিগুনের কোন
কমতিও থাকবেনা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url