কলার খোসার অজানা ব্যবহার

কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে জানলে অবাক হবেন। আমরা প্রতিদিন কলা খেয়ে যে উচ্ছিষ্ট কলার খোসা ফেলেদি, সেটা কাজে লাগিয়ে অনেক উপকৃত হতে পারেন ফ্রি তেই। কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

কলার-খোসার-ব্যবহার

পুষ্টিগুণ এবং শরীরে শক্তি পাওয়ার জন্যে আমরা কলা খেয়ে থাকি। কিন্তু কলার খোসা এখানে সেখানে ফেলেদি। কারণ আপনারা জানেননা কলার খোসা আপনার কত উপকারে আসবে। তবে দেরি কিসের চলুন জেনেনি কলার খোসার সঠিক ব্যবহার।

পেজ পুচিপত্রঃ কলার খোসার ব্যবহার

কলার খোসার ব্যবহার

কলার খোসার ব্যবহার অনেক রয়েছে। নানা রকম ভাবে আপনি কলার খোসাকে ব্যবহার করতে পারবেন। কলা আমাদের শরীরের জন্যে অনেক উপকারি তেমন কলার খোসাও আমাদের জন্যে অনেক উপকারে আসবে যদি সঠিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে কলার খোসা বাবহারের আগে অবশ্যই এমন কলার খোসা নিতে হবে যে কলায় কোন ওষুধ বা সার ব্যবহার করা হয়নি। আসুন জেনেনি কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে।

মুখের ব্রন ভালো করতে

যাদের মুখে অনেক ব্রনের সমস্যা তাদের কাছে এটি অনেক কাজের হতে পারে। কারণ কলার খোসা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে মুখের ব্রন দূর করতে পারবেন। এর জন্যে আপনাকে কলার খোসার ওপর মধু দিয়ে সেটা মুখে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে কিছুদিন করলে আপনার মুখে ব্রনের দাগ দূর হবে খুব সহজেই।

দাঁত ধবধবে সাদা করার জন্যে

যাদের দাতের রঙ নিয়ে সমস্যা অর্থাৎ দাতের রঙ হলুদ হয়ে গেছে বা প্রথম থেকেই হলুদ। অনেক টুথপেস্ট বা বিভিন্ন মাজনি ব্যবহার করে বা ব্রাশ পরিবর্তন করার পরও যদি দাতের রঙ পরিবর্তন না করতে পারেন। তাহলে কলার খোসা হতে পারে আপনার সেই ওষুধ যেটা ব্যবহার করে আপনি দাঁত ধবধবে সাদা করতে পারবেন। এজন্যে আপনাকে কলার খোসা দিয়ে দাঁত মাজতে হবে। কিছুদিন এভাবে করলে দেখবেন আপনার দাঁত ধবধবে সাদা হতে শুরু করেছে।

দাতের ব্যাথা কমাতে 

যাদের দাতের গরায় বা দাতে কোন রকম ব্যাথা করে, সেক্ষেত্রে আপনি কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনাকে ভালো ফলাফল দিবে ব্যাথা কমাতে। 

মুখের অবাঞ্চিত দাগ দূর করতে

যাদের মুখে কালো দাগ রয়েছে বা অন্য কোন অবাঞ্চিত দাগ রয়েছে যেটা দূর করতে চান। তাহলে নির্দ্বিধায় কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কলার খোসার ওপর মধু দিয়ে সেটা মুখের বিভিন্ন জায়গায় ম্যাসাজ করুন। এভাবে আপনার মুখের কালো দাগ দূর করা সম্ভব।

ক্ষতিকর রশ্নি থেকে চোখের সুরক্ষা

আমরা যখন বাইরে বের হয় এমন অনেক রশ্নি চোখে লাগে যা আমাদের চোখের জন্যে অনেক ক্ষতিকর। এই ক্ষতিকর রশ্নি থেকে সুরক্ষা পেতে চোখের ওপর কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।

কোন মাছি বা পোকা কামরালে ব্যবহার করতে পারেন

অনেক সময় দেখা যায় ভুলবশত কোন পোকা বা মাছি আমাদের কামরে দেয় ফলে আমাদের অনেক জ্বালা পড়া করে কিছুয় করার থাকেনা এসময়। তবে সেখানে কলার খোসা ব্যবহার করলে একটু ঘোষলে বা ম্যাসাজ করলে আপনার জ্বালা পড়া বা ব্যাথা কমে যেতে পারে।

শরীরের বিভিন্ন খোসপাছরা বা দাদের জন্যে

অনেকের শরীরে বিভিন্ন দাদ বা খোসপাছরা দেখা যায় ফলে সে অনেক সমস্যার মধ্যে থাকে। অনেক চুলাকায় বা আরও সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে আপনি কিন্তু কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। দাদ বা খোসপাঁচড়া স্থানে কলার খোসা ঘোষলে বা ম্যাসাজ করলেয় ধিরে ধিরে সেটা ঠিক হয়ে যাবে আর চুলকানি বা কোন সমস্যা থাকবেনা।

ত্বক শুষ্কতা দূর করতে 

অনেকের ত্বক সারাক্ষণ শুষ্ক থাকে ফলে দেখতে ভালো লাগেনা। এখাত্রে আপনি ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্যে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। মাস্কের মতো কলার খোসাকে মুখের ওপর লাগিয়ে রাখুন এবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তুলে ফেলার পর দেখবেন ত্বক অনেক মসৃণ হয়ে গেছে। 

গাছের বৃদ্ধিতে

গাছের বৃদ্ধিতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কলার খোসা আকারে ছোট টুকরো করে সেটাকে গাছের আশপাশে মাটির নিচে পুতে দিলে আপনার গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। কারণ কলার খোসা মাটির নিচে মিথেন গ্যাস তৈরি করে যা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া কলার খোসা পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে পারেন এবং পানীয়টি গাছের গোরায় দিতে পারেন সেখত্রেও পাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।

দৈনন্দিন বাবহারের জিনিসপত্র পরিস্কারে ব্যবহার করতে পারেন

আমরা দৈনন্দিন জিবনে অনেক কিছু ব্যবহার করি জেগুলা ময়লা হলে পরিস্কার করা একটু কঠিন হয়ে যায় যেমনঃ চামরার জুতা, গয়না, কাপরচোপর এগুলা পরিস্কারে আপনি কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। খুব দ্রুত এবং সহজেই পরিস্কার হয়ে যাবে।

কলার খোসা অনেক উপকারি একটা জিনিস। যেটা আমাদের দৈনন্দিন জিবনে অনেক কাজে আসবে। কলার খোসায় ভালো পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে। ফলে এটি আমাদের বাহিরের যত ক্ষতিকর জিবানু আছে তা সহজেয় দূর করে। আমরা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারি। এক কথায় কলার মতো কলার খোসাও অনেক উপকারি আমাদের জন্যে।

কলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা

কলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা জেনেনিন। কলা আমাদের শরীরের জন্যে অনেক উপকারি এটা নিশ্চয় জানেন, কিন্তু কলার খোসাও আমাদের জন্যে অনেক উপকারি। শুধু বাহ্যিক ভাবে নয়, কলার খোসা আপনি খেতেও পারবেন। কলার খোসা খাওয়ার ফলে আপনি অনেক উপকার পেতে পারেন। আসুন বিস্তারিত জেনেনি কলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
  • কলার খোসা চোখ ভালো রাখে
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
  • মস্তিস্কের সুখি হরমন অর্থাৎ সুখ ও সুস্থতার জন্যে মস্তিস্ক যে হরমন নিঃসরণ করে সেটি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
  • খারাপ কলেস্টরেল অর্থাৎ যে কলেস্টরেল আমাদের শরীরের জন্যে ক্ষতিকর সেটা কমাতে সাহায্য করে
  • কলার খোসা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে
  • ডায়াবেটিস ঝুঁকি অনেক আংশে কমিয়ে দেয়
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • চোখের বিভিন্ন সমস্যায় দূরীকরণে সাহায্য করে
কলার খোসা আমাদের দেহের বাহ্যিক ভাবে এবং ভেতর থেকেও নানা ভাবে উপকার করে। আপনি আপনার দেহের নানা সমস্যায় এটি ব্যবহার করতে পারবেন চামড়ার ওপর থেকে আবার প্রয়জনে এটিকে খেতেও পারবেন সঠিক এবং আরও উপকার পাওয়ার জন্যে। তবে কলার খোসা খাওয়ার নিয়ম আছে যা আমাদের পোষ্টে আলচনা করেছি।

কলার খোসা কিভাবে খাওয়া যায়

কলার খোসা কিভাবে খাওয়া যায় তা জানবেন এই পোস্ট থেকে। আপনারা ইতোমধ্যে কলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যেনেছেন নিশ্চয় যেটা আমরা ওপরে আলোচনা করেছি। কলার খোসার সঠিক উপকারিতা পেতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক নিয়ম যেনে খেতে হবে। কারণ এটি একটি উচ্ছিষ্ট অংশ যেটা খাওয়ার বিশেষ নিয়ম রয়েছে। আসুন জেনেনি কলার খোসা কিভাবে খাওয়া যায়।

জেহুতু কলার খোসা একটি উচ্ছিষ্ট অংশ সেহুতু এটিকে খাওয়ার আগে অবশ্যই গরম পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। গরম পানিতে সিদ্ধ করে খুব সহজে এটা খেতে পারেন তবে সাদা অংশের দিকটা খাওয়া উচিত। তবে কলার খোসা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বুজতে হবে এটি আপনি হজম করতে পারবেন নাকি। কারণ হজম করতে পারলে তবে কলার খোসা খাওয়া উচিত নয়তো এটি আপনার পেটে সমস্যা করতে পারে।
কলার খোসা পানির মধ্যে দিয়ে তার মধ্যে কিছু হলুদ দিয়ে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করার পর খেতে পারবেন কলার খোসা। তবে কলা অবশ্যই পাকতে দেয়া উচিত অর্থাৎ পাকা কলার খোসা খেতে হবে। কারণ এটি হজমে সুবিধা হবে এবং খেতেও একটু মিষ্টি লাগবে ফলে খুব সহজেয় খেয়ে ফেলতে পারবেন। কলার খোসার মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। 

চুলের যত্নে কলার খোসা

চুলের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন এটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। অনেকের চুলে অনেক প্রকার সমস্যা থাকে কিন্তু অনেক পণ্য ব্যবহার করেও সেটি দূর হয়না। তবে আপনি হয়তো জানেননা কলার খোসা অর্থাৎ একটি উচ্ছিষ্ট অংশ দিয়েও আপনি আপনার চুলের যত্ন নিতে পারেন। আসুন জেনেনি চুলের যত্নে কলার খোসা 
  • মাথার ত্বকে যে ধুলময়লা জন্মে বা জড় হয় তা পরিস্কার করতে সাহায্য করে
  • মাথার খুস্কি সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে
  • মাথার ত্বক মসৃণ করে ফলে শুষ্কতা ভাব থাকেনা
  • ক্ষতিগ্রস্ত চুল ঠিক করতে সাহায্য করে
চুলের যত্নে আপনি নিশ্চিন্তে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। আপনার যদি মাথায় অপরক্ত কোন সমস্যা থাকে তাহলে কলার খোসা বাবহারের মাধ্যমে সেটিকে নিরমুল করতে পারেন। তবে কলার খোসা বাবহারের কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা আমাদের পোস্ট থেকেই জানতে পারবেন। চুলের যত্নে অন্য কিছু নই কলার খোসা হতে পারে সহজ মাধ্যম।

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন। আমাদের ত্বকে বা বিভিন্ন স্থানে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে কথায় কথায় ব্যবহার করতে হবে তা জানা অনেক জরুরি। সঠিক ফলাফল বা কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার জন্যে আমাদের পোস্টটি পড়ুন। এছারা কলার খোসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে পারেন।
কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা
  • গরম পানি বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো ভাবে পরিস্কার করে মুখে সব স্থানে কলার খোসা দিয়ে ম্যাসাজ করুন বা ঘষুন
  • ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে কলার পরিস্কার খোসা নিয়ে সেটাকে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে এর মধ্যে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। 
  • চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে কলার খোসা ছোট করে কেটে নিয়ে সেটাকে ফ্রিজে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্যে রেখে দিতে হবে এবং ফ্রি সময়ে বা রাতে ঘুমানোর আগে চোখের ওপর এবং কালো দাগের অংশের ওপর কলার খোসা রেখে দেন অনেক ভালো অনুভব করবেন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। 
উপরোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার ত্বক আরও সুন্দর ও মসৃণ করে ফেলতে পারেন। কলার খোসা আপনার ত্বক কিছুদিন এর মধ্যে পরিবর্তন করে দিতে পারে। সঠিক ফলাফল পাওয়ার জন্যে প্রতিদিন ত্বকে কলার খোসা ব্যবহার করুন। 

কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি 

কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি করতে পারেন খুব সহজে। আজকের এই পোস্ট পরে জানতে পারবেন কলার খোসা দিয়ে কিভাবে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্যে সার তৈরি করতে হয়। কলার উচ্ছিষ্ট অংশ বা কলার খোসা আমরা সাধারণত এমনিয় ফেলেদি কিন্তু এটার সঠিক ব্যবহার করে আমরা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে পারি। আসুন জেনেনি কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি সম্পর্কে।
  • কলার খোসা দুদিন বা তিনদিন পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন এবং সেটা গাছের গোরায় ব্যবহার করুন গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে
  • কলার খোসা রোদে সুকিয়ে নিয়ে সেটাকে গুর করুন সেটা আবার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে পারেন
  • বিজ বপনে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে মাটিতে গর্ত করে সেখানে কলার খোসা রেখে অর্ধেক মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে তার ওপর বিজ বপন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার বিজ গুলো সঠিক পরিমানে পুষ্টি পাবে।
  • পানি ভিনেগার এবং কলার খোসা একসাথে মিশিয়ে রেখে সেটা ব্যবহার করতে পারেন গাছের গোরায়
উপরোক্ত সব কয়টি উপায় ব্যবহার করতে পারেন কলার খসাকে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে। তবে কলার খোসা মাটির জন্যে অনেক উপকারি যদি আপনি সঠিক ভাবে এটির ব্যবহার করতে পারেন। তবে ওপরে জেভাবে আলোচনা করা হয়েছে সেভাবে ব্যবহার করলেয় সঠিক উপকৃত হবেন। 

কলার খোসায় কি পুষ্টিগুণ আছে

কলার খোসায় কি পুষ্টিগুণ আছে অনেকে জানতে চান। কলা আমাদের শরীরের জন্যে যেমন উপকারি তেমন কলার খোসাও আমাদের শরীরের জন্যে অনেক উপকারি। কলার খোসায় অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের অজানা। তবে কোন সমস্যা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কলার খোসায় কি পুষ্টিগুণ আছে যা আপনার শরীরের জন্যে উপকারি

কাচা কলার খোসায় প্রচুর আন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বড় বড় মরন ব্যাধি রোগ যেমন কান্সারের মতো রোগের কোষ তৈরি করতে বাধা প্রাপ্ত করে। এছাড়া কলার খোসায় আরও কিছু উপাদান যেমন ক্যারোটিনয়েড ও পলিফেনল এর মতো উপাদান থাকে যা আপনার শরীরের ক্যান্সার সৃষ্টি কারি কোষের বিরুদ্ধে লড়ায় করে। 

কলার খোসা পরিবেশের ওপর কি প্রভাব ফেলে

কলার খোসা পরিবেশের ওপর কি প্রভাব ফেলে জেনেনিন। আমরা অনেকেই জানিনা কলার খোসা একটি ভোজ্য পদার্থ যা আমরা খেতে পারি। আপনি আসলেয় কলার খোসা খেতে পারেন এবং এটি আপনার শরীরের জন্যে অনেক ভালো। অনেক বেশি উপকৃত হবেন কলার খোসা খেয়ে। তবে কলার খসা পরিবেশের ওপর কি প্রভাব ফেলে আসুন জেনেনি।
কলার-খোসা-পরিবেশের-ওপর-কি-প্রভাব-ফেলে
কলার খোসা যে খাওয়া যায় এটি না যেনে অনেকে এটা ফেলে দেন ফলে এটা মাটির সংগে মিশতে বা পচে যেতে প্রায় ২ বছর মতো সময় লাগে। ফলে কলার খোসা জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। কলার খোসা গ্রিন হাউজ গ্যাস তৈরি করে অত্তাধিক পর্যায়ে যা আমাদের পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে। এজন্যে কলার খোসা ফেলে না দিয়ে এর উপকার গুলো ভোগ করা উচিত। 

কলার খোসার অপকারিতা

কলার খোসার অপকারিতা সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। কলার খোসার অনেক বেশি উপকারি উপাদান রয়েছে এবং এটি আমাদের শরীরের জন্যে অনেক উপকার। তবে অনেকেই এর অপকার দিক জানতে চান। কলার খোসা আমাদের শরীরের জন্যে তেমন কোন অপকারিতা নেই। ্সরিরের জন্যে যে ক্ষতি করবে এমন কোন প্রমান পাওয়া জায়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে কলার খোসায় কোন ক্ষতিকর পদার্থ বা উপাদান নেই। তবে কলার খোসা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সিদ্ধ বা গরম পানির মধ্যে গরম করে নিয়ে খেতে হবে। আর অবশ্যই এমন কলার খোসা খেতে হবে যে কলায় কোন রাসায়নিক বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। বিষয় গুলো লক্ষ করে আপনি কলার খোসা খেলে কোন রকমের অপকারিতা পাবেননা। 

লেখক মতামত - কলার খোসার ব্যবহার

কলার খোসার ব্যবহার অনেক রয়েছে যদি আপনি সঠিক ভাবে এর ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার মাধ্যমে কলার খোসা সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন। কলার খোসা আমাদের জন্যে অনেক উপকারি, এটা পরিবেশে তেমন কোন ক্ষতি করেনা। জেটকু প্রভাব ফেলে তা আমরা নিজেরাই রোধ করতে পারি এটি যেখানে সেখানে না ফেলে।

কলার খোসা ফেলে না দিয়ে এটি খেতে পারেন। আপনার শরীরের জন্যে অনেক উপকারে আসবে। কলা যেমন আমাদের শরীরের জন্যে অনেক উপকারি ঠিক তেমনি কলার খোসা আমাদের জন্যে অনেক উপকারি। সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করলে এর গুণ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। পরিবেশকে হুমকির মুখে না ফেলে এটির সঠিক ব্যবহার করুন। আপনিও উপক্রিত হবেন সাথে পরিবেশও ভালো থাকবে। ধন্যবাদ পাঠক আমাদের সাথে থাকার জন্যে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url