আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ কোন কোন কাজ করতে পারবেন এবং আপনার বেতন কত হবে কিভাবে ভিসা পাবেন সবকিছু জানতে পারবেন আজকের এই পোস্ট থেকে। যদি ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডে যেতে চান তাহলে সে সম্পর্কে সকল সঠিক তথ্য জেনেনিন।
আয়ারল্যান্ড একটি ইউরোপের দেশ এবং অনেকের স্বপ্ন থাকে ইউরোপের দেশে যাবে বা কাজ করবে। তবে এই স্বপ্ন এখন খুব সহজ। আপনি চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় আয়ারল্যান্ড যেতে পারবেন এবং সে সম্পর্কে সকল তথ্য জানবেন এই পোস্ট থেকে।
পেজ সুচিপত্রঃ আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- আয়ারল্যান্ড কাজের বেতন কত
- আয়ারল্যান্ডে সিকিউরিটি গার্ডের বেতন কত
- আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
- বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের এম্বাসি কোথায়
- আয়ারল্যান্ড ভিসা আবেদন
- বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে চাকরি পাওয়ার উপায়
- আয়ারল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন কত
- লেখক মন্তব্য - আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন এই পোস্ট থেকে। মুলত
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলতে কাজের ভিসা বোঝায়। আপনি যদি আয়ারল্যান্ড গিয়ে কাজ করতে
চান তাহলে এই ভিসার প্রয়োজন হবে। তবে এই ভিসা পাওয়ার জন্যে কিছু নির্দিস্ট শর্ত
এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। তবে বাংলাদেশে কোন আইরিশ দুতাবাস নেই ফলে বাংলাদেশ
থেকে আপনি সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না এর জন্যে ভারত যেতে হবে আপনাকে সেখানে
ভিসা অফিস রয়েছে। আমাদের এই পোস্ট থেকে সেই তথ্যগুলো জানতে পারবন এই ভিসা কিভাবে
আবেদন করবেন এবং কি কি প্রয়জন।
কাজের জন্যে ভিসার ধরন
- Critical skill Employment Permit: এক্ষেত্রে কাজের জন্যে বিশেষ দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়।
- Genarel skill Permit: এক্ষেত্রে কাজের জন্যে তেমন কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয়না, তবে চাকরির জন্যে প্রতিষ্ঠানের অনুমুতির প্রয়োজন।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
- যে দেশে আবেদন করবেনঃ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্যে আয়ারল্যান্ড রাষ্ট্রদূত বা কনসুলেটে আবেদন করতে হয়।
- অনলাইন আবেদনঃ আয়ারল্যান্ডের ভিসা ও ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হয়।
- ডকুমেন্টঃ আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমনঃ পাসপোর্ট, কাজের অফার লেটার, ব্রত্তান্ত, আর্থিক বিবৃতি ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
আবেদন শর্ত
- চাকরির অফারঃ আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট পেতে হলে, সেখানকার কোন কোম্পানি থেকে কাজের অফার পেতে হবে।
- দক্ষতাঃ ইংরেজি ভাষার ওপর যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে। যেমন চাইলে আপনি IELTS পরীক্ষা দিতে পারেন।
- অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীঃ আয়ারল্যান্ড যাওয়ার জন্যে আপনার যথেষ্ট পরিমানে টাকা থাকতে হবে যেন নিজের খরচ চালাইতে পারেন।
পারমিট বা ভিসা অনুমদন
- ভিসা যদি অনুমদন হয় অর্থাৎ আপনি যদি পারমিট পেয়ে যান তাহলে আপনি আয়ারল্যান্ড গিয়ে বসবাস এবং কাজ করতে পারবেন।
- পারমিট বা অনুমদন যদি না পান সেক্ষেত্রে আবার আবেদন করতে পারবেন।
আয়ারল্যান্ডে কাজ করার সুবিধা
- উচ্চমানের জীবনযাত্রা
- উচ্চমানের কাজের সুযোগ
- পরিবারের অন্য সদস্যদের ভিসা পারমিট পাওয়ার সুবিধা করে দিতে পারবেন
ওপরের সকল তথ্য আয়ারলান্দের ভিসা পারমিট সম্পর্কে বলা হয়েছে। তবে আপনি যদি আরও
বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আয়ারল্যান্ড অফিসিয়াল ভিসা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে
তথ্য পরতে পারেন। তবে এই পোষ্টে যে তথ্য সমূহ দেয়া হয়েছে তা যথেষ্ট জানার
জন্যে। এই তথ্যের মাধ্যমে আপনি আয়ারল্যান্ড ভিসা পারমিট সম্পর্কে সব বুঝতে
পারবেন। আরও তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পরুন।
আয়ারল্যান্ডের কাজের বেতন কত
আয়ারল্যান্ড কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। ইউরোপের দেশ হওয়ায়
সেখানে জীবন জাত্রার মান অনেক উন্নত। এছাড়া সেখানে কাজের বেতনও আনেক ভালো।
আয়ারল্যান্ডের কাজের বেতন বিভিন্ন বিসয়ের ওপর নির্ভর করে যেমনঃ কাজের ধরন,
অভিজ্ঞতা এবং শিল্পের ওপর নির্ভর করে। এই পোস্ট থেকে কাজের বেতন এবং পেশাভিত্তিক
বেতন সম্পর্কে জানবেন
নুন্যতম মজুরিঃ বর্তমান সময়ে কাজের মজুরি আয়ারল্যান্ডে প্রায় ১২.৭০ ডলার।
- ১৮ বছরের নিচেঃ ৭.৩৫ ডলার প্রতি ঘণ্টায়
- ১৮ থেকে ১৯ বছরঃ ৯.০৮ ডলার প্রতি ঘণ্টায়
পেশাভিত্তিক গড় বেতন
- আইটি বা প্রযুক্তিঃ বছরে ৪০,০০০ ডলার থেকে ৭০০০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- স্বাস্থ্যসেবা(নার্স/চিকিৎসক): বছরে প্রায় ৩০০০০ ডলার থেকে ১০০০০০ ডলার পর্যন্ত হয়
- ইঞ্জিনিয়ারঃ বছরে ৪০০০০ ডলার থেকে ৭৫০০০ ডলার পর্যন্ত
- শিক্ষকঃ বছরে ৩৫০০০ ডলার থেকে ৬০০০০ ডলার পর্যন্ত
- হোটেল বা রেসটুরেন্টঃ বছরে ২০০০০ ডলার থেকে ৩০০০০ ডলার পর্যন্ত
অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে আপনার বেতন কেমন হবে। তবে নতুন অবস্থায় একটু কম হলেও
অভিজ্ঞতা হলে আপনার বেতনও পুর্বের তুলনাই অনেক বৃদ্ধি পাবে। তবে আয়ারল্যান্ডে
স্থান ভিত্তিক বেতনের পরিবর্তন হয় কারণ আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর প্রধান
অর্থনৈতিক কেন্দ্র। ফলে সেখানে কাজ পেলে আপনার বেতন অন্যান্য তুলনাই একটু বেশি
হতে পারে।
আয়ারল্যান্ডে সিকিউরিটি গার্ডের বেতন কত
আয়ারল্যান্ডে সিকিউরিটি গার্ডের বেতন কত জানতে পারবেন এই পোস্ট থেকে। ইউরোপের
এই দেশটিতে সব কাজেই ভালো পরিমানে বেতন দেয়া হয়। যেকোনো দক্ষ বা অদক্ষ কাজের
জন্যেও যথেষ্ট পরিমানে অর্থ দেয়া হয়। একজন সিকিউরিটি গার্ডের বেতন বছরে প্রায়
২৬৩২৫ ডলার অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় ১৩.৫০ ডলার পাবেন। যদি নতুন কর্মিদের বেতন
তুলনামুলক একটু কম হয়ে থাকে বছরে প্রায় ২৪৩৭৫ ডলার। তবে অভিজ্ঞতার সাথে সাথে
আপনার বেতন আরও বৃদ্ধি পাবে যা প্রায় ২৯৪০৬ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সিকিউরিটি
গার্ডের চাকরি করে ভালো পরিমানে উপার্জন করতে পারবেন।
আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন এই পোস্ট থেকে। মুলত
কোন ভিসায় আপনি আয়ারল্যান্ড জাচ্ছেন সে অনুযায়ী আপনার টাকা লাগবে। বিভিন্ন ভিসার
জন্যে আলাদা আলাদা খরচ হয়ে থাকে। তবে ভিসা বাদে টিকেট খরচ সহ আরও অন্যান্য খরচ
এরও প্রয়োজন হয়। আসুন জেনেনি বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে।
ভিসা খরচ
- টুরিস্ট ভিসাঃ প্রায় ৭০০০ থেকে ১০০০০ টাকা খরচ হবে
- স্টুডেন্ট ভিসাঃ প্রায় ১২০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা খরচ হবে
- ওয়ার্ক ভিসাঃ ওয়ার্ক ভিসায় প্রায় ২০০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে বেশি লাগতে পারে।
এয়ার টিকেট খরচ
বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে হলে আপনাকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আয়ারল্যান্ডের
ডাবলিন শহরে নামতে হবে। এজন্যে বিমান ভারা হিসেবে ৬০০০০ টাকা থেকে প্রায় ১২০০০০
টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
অন্যান্য খরচ
- বীমাঃ প্রায় ৫০০০ থেকে ১০০০০ টাকা খরচ
- আবাসনঃ হোটেল খরচ হিসেবে প্রথমে এই খরচটি সাম্প্রতিক লাগতে পারে ৪০০০ থেকে ১০০০০ টাকা।
- খাবার ও যাতায়াতঃ একটি মাসে আপনার খাবার বা যাতায়াত খরচ প্রায় ৩০০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ওপরের খরচগুলোর থেকে আপনার বেশি বা কম খরচ লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এর কমে
আপনি আয়ারল্যান্ডে যেতে পারবেন এবং কম খরচে থাকতেও পারবেন। তবে কোন সময় এর
বেশিও লাগতে পারে। আপনার সময়ে সঠিক তথ্য জানতে কোন টুর এজেঞ্চি বা ট্রাভেল
এজেঞ্চি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের এম্বাসি কোথায়
বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের এম্বাসি কোথায় জানবেন এই পোস্ট থেকে। বাংলাদেশে মুলত
আয়ারল্যান্ডের কোন এম্বাসি নেই। বংলাদেশ থেকে আপনি যদি আবেদন করতে চান তাহলে
অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। তবে যদি সরাসরি এম্বাসি যাওয়ার প্রয়োজন হয়
তাহলে আপনাকে ভারত যেতে হবে। কারণ আমাদের কাছাকাছি আয়ারল্যান্ডের এম্বাসি বলতে
সেটি ভারতে। ভারতে আয়ারল্যান্ডের এম্বাসি কোথায় জেনীনিন
- Embassy of Ireland, New Delhi
- 230 Jor Bagh
- New Delhi - 110003
- Inida
যোগাযোগ করুন
- ফোন নাম্বারঃ +৯১-১১-৪৯৪০-৩২০০
- ইমেইলঃ delhiembassy@dfa.ie
- ওয়েবসাইতঃ Ireland Embassy, India
কনস্যুলেট অফিস
- মুম্বাইঃ বাণিজ্যিক কাজের জন্যে কনস্যুলেট
- বাঙ্গালুরঃ অনারারি কনস্যুলেট রয়েছে।
আয়ারল্যান্ড ভিসা আবেদন
আয়ারল্যান্ড ভিসা আবেদন সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। সাধারণত কয়েক্তি ধাপে
আয়ারল্যান্ড ভিসা আবেদন করতে হয়। তবে নির্ভর করে কোন ধরনের ভিসায় আপনি আবেদন
করছেন যেমনঃ টুরিস্ট, স্টুডেন্ট নাকি কাজের ভিসা। আয়ারল্যান্ড ভিসা আবেদন করতে
ভারতে দিল্লিতে যেতে হবে সেখানে আইরিশ দুতাবাস রয়েছে। এছাড়া আপনি বাংলাদেশ থেকে
অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আজকে আমরা আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা কিভাবে আবেদন করতে
হয় সেটা জানবো আসুন বিস্তারিত জেনেনি।
- Critical skill Employment Permit: এক্ষেত্রে কাজের জন্যে বিশেষ দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়।
- Genarel skill Permit: এক্ষেত্রে কাজের জন্যে তেমন কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয়না, তবে চাকরির জন্যে প্রতিষ্ঠানের অনুমুতির প্রয়োজন।
প্রধান ধাপগুলো
- আপনার কাজের দক্ষতা এবং কাজের ক্ষেত্র
- কাজের প্রস্তাব পেতে হবে
কাজের অফারপত্র
- ভিসা আবেদন করার জন্যে অবশ্যই আপনার কাছে আয়ারল্যান্ডের কোন নিয়গকর্তা থেকে চাকরি অফার লেটার থাকতে হবে।
- অফারে কাজের ধরন এবং বেতন উল্লেখ থাকতে হবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ভিসা আবেদন ফর্ম
- পাসপোর্ট
- চাকরি অফার লেটার
- নিয়গকর্তার ট্রেড বা লাইসেন্সের কপি
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমান
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- মেডিকেল ইন্সুরেন্স
- ভিসা ফি জমার রশিদ
আবার আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আয়ারল্যান্ডের ভিসা প্রসেসিং বা
আয়ারল্যান্ডের ওয়েবসাইট গিয়ে আবেদন করতে হবে।
ভিসা ফি প্রদান
- Critical skill Employment Permit: ১০০০ ইউরো প্রায়
- Genarel skill Permit: প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ ইউরো
ইন্টারভিউ বা বায়মেট্রিক এর জন্যে প্রয়জনে আপনাকে তথ্য বা ইন্টারভিউ নেওয়ার
জন্যে ডাকতে পারে। আবেদন গ্রহন হলে Employment Permit ইস্যু করা হবে এরপর ভিসা
প্রসেসিং কার্যক্রম শুরু হবে।
বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে চাকরি পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে চাকরি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে।
আয়ারল্যান্ড একটি ইউরোপের দেশ সে জন্যে মানুষ ভাবে এখানে চাকরি পাওয়া কঠিন। তবে
সঠিক উপায় জানলে আপনিও কাজ পেতে পারেন আয়ারল্যান্ডে। আয়ারল্যান্ড খুব ভালো
পরিমানে বেতন দেয়া হয় ফলে আপনি একটি ভালো জীবনযাপন করতে পারবেন। আসুন বিস্তারিত
জেনেনি আয়ারল্যান্ডে চাকরি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
আয়ারল্যান্ডে চাকরি পাওয়ার জন্যে আপনাকে বাংলাদেশের কোন বিদেশি প্রশিক্ষণ
কেন্দ্রতে ভর্তি হতে হবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রতে ভর্তি হওয়ার পর আপনি সেখানে সঠিক
ভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কাজের পরিখায় যদি পাশ করতে পারেন তাহলে তারা আপনাকে
আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আয়ারল্যান্ডে কাজের জায়গা খুজে দিবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের
সাথে আয়ারল্যান্ডের চাকরি প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগাযোগ থাকে তারা সেখানে প্রশিক্ষণ
দিয়ে দক্ষ মানুসদের সেখানে কাজের অনুমতি দেয়।
কাজের পারমিট বা চাকরি দেওয়ার মতো কিছু কোম্পানি যেমনঃ ডিপার্টমেন্ট অফ
এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড অফ এমপ্লয়মেন্ট এই সংস্থাগুলো আপনাকে কাজ দিতে পারে
আয়ারল্যান্ডে। তবে উচ্চ বেতনের কাজ বা উচ্চ দক্ষতার কাজগুলো DETE নামক কোম্পানি
দিয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে অনলাইনে আয়ারল্যান্ডে চাকরি খুজতে পারবেন। আসুন
দেখেনি সাইটগুলি।
- IrisJobs.ie
- Jobs.ie
- Indeed.ie
ওপরের সাইটগুলিতে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন এবং নিজের কাজের দক্ষতা বা
অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। তারপর আপনি কাজের জন্যে আবেদন করে অপেক্ষা করুন কাজ
পাওয়ার বা কাজের অফার লেটারের জন্যে। সময় লাগতে পারে কিন্তু আপনি যদি কাজের
অফার লেটার পেয়ে যান তাহলে আয়ারল্যান্ডে চাকরি পেয়ে জাবেন।
আয়ারল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন কত
আয়ারল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন কত জানবেন এই পোস্ট থেকে। জেহুতু এই একটি ইউরোপের
দেশ সেহুতু অরথনৈতিক ভাবে অনেক সচল। আপনি যদি অদক্ষ হন বা আপনার কোন অভিজ্ঞতা
না থাকে বা কাজে নতুন হন তাও আপনার বেতন প্রতি মানে ৭৩৩ ইউরো হবে। বানলাদেশ
টাকা অনুযায়ী আয়ারল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৯৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ আপনি
ভালো দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারলে আপনি অনেক বেতন পাবেন।
লেখক মন্তব্য - আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে সম্পূর্ণ পোস্ট জুরে আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়া আপনি কিভাবে আয়ারল্যান্ড জাবেন কত টাকা খরচ পরবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। সম্পুর্ন পোস্ট পড়ার মাধ্যমে কিভাবে আয়ারল্যান্ড জাবেন এবং
বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড সফর সম্পর্কে একটি ভালো ধারনা তৈরি হয়ে যাবে।
বর্তমানে আয়ারল্যান্ডের টাকার অনেক মান এবং এটি একটি ইউরোপের দেশ। যেকোনো কাজে
গিয়ে আপনি ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন খুব সহজে। তবে প্রথমে বেতন একটু
কম হলেও সময়ের সাথে সাথে এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি হলে আপনার বেতনও বৃদ্ধি পাবে। যদি
মনে হয় কাজের উদ্দেশে ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান তাহলে আয়ারল্যান্ড হতে পারে
আপনার প্রথম পছন্দ। আশা করি আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পোস্টটি সম্পূর্ণ বুঝেছেন। ধন্যবাদ পাঠক।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url