গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার কার্যকারী উপায়

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায় যা আপনার জন্যে হবে কার্যকারী জানতে চাইলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যে। বর্তমান সময়ে মানুসের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়েয় চলছে তাই এই সমস্যা সমাধানে কার্যকারী উপায়গুলো যেনেনিন।

গ্যাস্ট্রিক-বুকে-ব্যাথা-দূর-করার-উপায়

যদি দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই ভুগছেন অথচ সেটা ঠিক হবার কোন সঠিক মাধ্যম বা উপায় খুজে পাচ্ছেন না তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্যে। আসুন বিস্তারিত জেনেনি গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায় গুলো।

পেজ সুচিপত্রঃ গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায় রয়েছে অনেক তবে সব গুলো কার্যকারী নই বা আপনারা হয়তো ঠিকঠাক ফলাফল পাননি। আমাদের নানা অনিয়ম এর কারণে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা তৈরি হয়। প্রথমে সেটা অল্প পর্যায়ে থাকলেও ধিরে ধিরে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। এটা একটি পরিচিত সমস্যা কিন্ত অবহেলার ফলে পরবর্তীতে এটি মারাত্মক ব্যাধিতে পরিনত হতে পারে। আসুন জেনেনি গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়

বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যাথা হতে পারে কিন্তু যদি বুকের ডান পাশে ব্যাথা উনুভুত হলে বুজবেন গ্যাস্ট্রিক এর কারণে এই ব্যাথা হচ্ছে। তবে গ্যাস্ট্রিকের নানা ওষুধ বা পানি পান করলেই এই ব্যাথা কমে যায়। তবে ওষুধ বা পানি খাওয়ার ফলে যদি সমস্যার ঠিক না হয় তাহলে গ্যাস্ট্রিক এর বুকে ব্যাথা দূর করার জন্যে নিচের উপায় গুলো অনুসরন করে ব্যাথা দূর করতে পারেন।

  • জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিনঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা হলে বড় বড় নিঃশ্বাস নিন তারপর আস্তে আস্তে নিঃশ্বাসটি ছাড়ুন এভাবে কয়েকবার করলে ব্যাথা কমে যাবে।
  • ঠাণ্ডা পানি দিয়ে সেক দিতে পারেনঃ বুকের যে স্থানে ব্যাথা অনুভুত হচ্ছে সেখানে একটি বতলে বা পাত্রে ঠাণ্ডা পানি নিয়ে সেক দিন। কিছুক্ষণ এভাবে সেক দিলে গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা কমে যাবে।
  • মালিশ করতে পারেনঃ যে স্থানে ব্যাথা অনুভুত হচ্ছে সেখানে ব্যাথা জাতিয় কোন বাম বাবহার করে মালিশ করতে পারেন ফলে ধিরে ধিরে ব্যাথা কমে যাবে। 
  • ব্যাথা কমাতে ব্যায়াম করতে পারেনঃ আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে গ্যাস বুকে জমতে পারবে না ফলে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা তৈরি হবার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।
এই সাধারন উপায়গুলো ছাড়া ঘরয়া অনেক উপায় আছে জেগুলা করে বা খাওয়ার ফলে আপনি গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে পারবেন। গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে এমন অনেক উপাদান আছে যা খেলে এই ব্যাথা অনেক কমে যাবে যা আপনার জন্যে আরও কার্যকারী হতে পারে। আসুন জেনেনি গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত। গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পরুন।

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত এটা আমাদের অবশ্যই জানা উচিত। কারণ দিন দিন এই সমস্যা বেরেই চলছে। রাতে বা বিভিন্ন সময়ে যখন আপনার কাছে গ্যাস্ট্রিকের কোন কার্যকারী ওষুধ থাকে না এমন অবস্থায় ঘরয়া কিছু উপাদান রয়েছে জেগুলা খেলে আপনি আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা খুব সহজেই কমাতে পারবেন। আসুন যেনে নেওয়া জাক গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত

  • গাসের ব্যাথা কমাতে দইঃ উপকারি ব্যাকটেরিয়ার ভালো একটি উৎস হলো দই যা হজমে সাহায্য করে থাকে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে দই অনেক কার্যকারী। পানির সাথে দই মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমে যাবে।
  • গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে ভিনেগারঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে ভিনেগার একটি ভালো উপাদান। দুই চামচ ভিনেগার এক গ্লাস পানির মধ্যে মিশিয়ে পান করলে আপনার বুকের গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমে যাবে।
  • গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে ভেষজ চাঃ ভেষজ চা একটি কার্যকারী উপাদান যেটি খাওয়ার ফলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা খুব দ্রুত কমে যাবে। নানা ওষুধি গাছ রয়েছে যা দিয়ে আপনি ভেষজ চা তৈরি করতে পারবেন। এই ভেষজ চায়ের মধ্যে অনেকধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা হজমে এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করবে।
  • গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে সবজিঃ বিভিন্ন রকমের সবজি জেগুলতে উচ্চ আঁশ রয়েছে সেগুলো খেতে পারেন। বুকের ব্যাথা কমাতে এবং হজমে সাহায্য করে এই আঁশ জতিয় সবজি। 
  • ব্যাথা কমাতে লবঙ্গঃ লবঙ্গ এমন একটি মশলা যেটি খেলে আপনার পেটের নানান সমস্যা যেমনঃ কোস্টকাঠিন্ন, পেট ফাপা বা গাসের ব্যাথা দূর করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্যে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন বা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এটি আপনার বুকে গাসের ব্যাথা কমাতে অনেক সাহায্য করবে।
  • গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে শসাঃ শসা একটি ঠাণ্ডা জাতিয় খাবার এটি আপনার পেটে এবং বুকে ঠাণ্ডার প্রভাব ফেলবে ফলে গাসের চাপ এবং বুকের জ্বালা কমে যাবে অনেক আংসেই।
  • গ্যাস্ট্রিকের বুকের ব্যাথা কমাতে পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভোগা বেক্তিদের জন্যে অনেক উপকারি।যারা প্রতিদিন বা প্রতিনিয়ত গাসের ব্যাথা সমস্যাই ভুগছেন নিয়মিত পুদিনা পাতার তেল খেলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারেন। পুদিনা পাতায় অ্যান্টিপেসমডিক থাকে যার গুনাগুনের ফলে গাসের সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। 
  • গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা কমাতে মোরি বিজঃ এই বিজ গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা কমাতে অনেক সাহায্য করে। এই বিজে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিজ যোগ আছে যা বদহজমে এবং গ্যাস্ট্রিক ব্যাথার লখন দূর করতে সাহায্য করে। 

বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ

বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ গুলো অবশ্যই জানা উচিত। বুকে গ্যাস জমছে এটা বুজতে পারলে আপনি তার প্রতিকার করতে পারবেন সেজন্যে প্রথমে জানতে হবে বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ সমূহ। পরিপাকতন্ত্রে যখন অত্যাধিক গ্যাস জমা হয় তখন বুকে অস্বস্তি এবং বুক ও আশপাশে ব্যাথা অনুভুত হয়। কিন্তু বুকে ব্যাথা অন্য কারণেও হতে পারে। এজন্যে গ্যাস সম্পর্কিত বুকে ব্যাথা কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানা উচিত। 

  • চাপ ও নিবিরতাঃ বুকের মধ্যে ভারিভাব এবং সংকোচনের অনুভুতি হবে। হৃদপিন্ডের ব্যাথা অনুরুপ অনুভুতির মতো।
  • ছুরি আঘাতের মতো ব্যাথাঃ বুকে হঠাৎ অনেক বেশি ব্যাথা অনুভূত হওয়া, বা তীব্র ব্যাথা অনুভূত হওয়া বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ।
  • খাওয়ার পর অস্বস্তি অনুভুতঃ খাওয়ার পরে গাসের সমস্যা বেশি দেখা যায়। আবার সেটা যদি হয় গাসের কোন খাবার তাহলে অনেক বেশি অস্বস্তি অনুভব করবেন।
  • পেট ফুলে যাওয়াঃ পেটে গ্যাস হবার ফলে পেট ফুলে যেতে পারে এবং অস্বস্তিকর অনুভূত হবে।
  • গন্ধযুক্ত ঢেকুরঃ বুকে গ্যাস জমলে অনেক সময় গন্ধযুক্ত ঢেকুর উঠে যা অনেক অস্বস্তিকর।
উপরের কোন সমস্যা যদি অনুভব করেন তাহলে ভাববেন বুকে গ্যাস জমাক্রিত হচ্ছে। বুকে গ্যাস জমার ফলে ব্যাথা বা অস্বস্তিকর অবস্থা ভোগ করতে পারেন। তাই উচিত এরকম সমস্যা অনুভূত হলে অবশ্যই ব্যাথা দূর করার উপায় গুলো অনুসরণ করা যা আমরা উপরে আলোচনা করেছি। এছাড়া এই ব্যাথার কারণ হৃদ রোগের সমস্যার জন্যেও হতে পারে তাই দ্রুতই ডাক্তারের সরানপন্ন হওয়া উচিত।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো জানবো এই পোস্ট থেকে। পেটে গ্যাস জমাক্রিত হয়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে আমরা বিভিন্ন সমস্যা ভোগ করা যা আমাদের একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে। তবে আমাদের জানা উচিত গ্যাস্ট্রিক হলে মুলত কি কি সমস্যা হয়। যেন আমরা সাবধানতা অলম্বন করি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে আসুন জেনেনি।
  • পেট ফুলে যাওয়া
  • খূদা কমে যাওয়া
  • খাওয়ার মধ্যে বা রাতের খাবারের পর পেটে জ্বালা ও ব্যাথা করা
  • বদহজম হওয়া
  • পিঠে ও পেটে ব্যাথা করা
  • ঘন ঘন পেট খারাপ
  • আলসার এবং রক্তপাত
  • বুকে ব্যাথা
  • গিলতে সমস্যা 
  • মুখের মধ্যে টক ভাব
  • বুকের মধ্যে জ্বালাপড়া যা রাতে বৃদ্ধি পায়
  • গন্ধ যুক্ত ঢেকুর উঠা

কোথায় কোথায় হয় গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা

কোথায় কোথায় হয় গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা অবশ্যই আমাদের জানা উচিত। নয়তো অন্য কোন বড় বা হার্টের সমস্যার জন্যেও ব্যাথা হতে পারে তাই জানা উচিত কোথায় কোথায় হয় গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা। সাধারণত অনিয়মিত জীবনযাপন, ধূমপান, ভেজাল খাবার, অতিরিক্ত তেল বা গ্যাস জাতিয় খাবার খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা শুরু হয়। বর্তমানে ছোট বড় সবার এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। আসুন বিস্তারিত জেনেনি

  • পেটের ওপরের দিকে পুরদিন জুরে অল্প অল্প ব্যাথা অনুভূত হতে পারে
  • যদি খালি পেটে থাকেন তাহলে বুকে অথবা পেটে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে
  • বুকের ডানপাশে খোঁচা মারার মতো ব্যাথা হতে পারে
  • তবে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের এই ব্যাথা বুকের মাঝখানেও হতে পারে 
  • পেটের মাঝখানে চিন চিন ব্যাথা অনুভূত হতে পারে
ওপরের স্থানগুলোতে ব্যাথা অনুভূত হতে পারে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথার জন্যে। তবে বুকের সকল ব্যাথা গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা মনে করে কাটিয়ে দিবেননা, কারণ এসব ব্যাথার কারণ হৃদ রোগও হতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বা গাসের সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। ছোট থেকে বড় সবাই এই সমস্যা ভোগ করছেন। তাই আমাদের উচিত সঠিক নিয়ম ও জীবনযাপন করা এসব সমস্যা হতে দূরে থাকার জন্যে। 


গ্যাসের ব্যাথা এবং হার্টের ব্যাথার মধ্যে পার্থক্য

গ্যাসের ব্যাথা এবং হার্টের ব্যাথার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে তবে এই পার্থক্য আমাদের সকলের জানা উচিত। কারণ বর্তমান সময়ে গ্যাসের সমস্যা বলে তেমন কোন গুরুত্ব না দিয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে থাকে মানুষ কিন্তু সেটা যদি হয় হার্টের ব্যাথা তাহলে এর ফলে আপনার মৃত্যু হতে পারে। বর্তমান সময়ে হার্টের সমস্যার ফলে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। এজন্যে আমাদের জানা উচিত গ্যাস এবং হার্টের ব্যাথার মধ্যে পার্থক্য।

গ্যাসের-ব্যাথা-এবং-হার্টের-ব্যাথার-মধ্যে-পার্থক্য

হার্টের ব্যাথা সধারনত গ্যাসের ব্যাথা থেকে একটু আলাদা হয়ে থাকে তবে এটা বোঝা একটু কঠিন যে কোনটা হার্টের ব্যাথা আর কোনটা গ্যাসের ব্যাথা। যেহুতু দুই ব্যাথার উৎপত্তিস্থল বুকে সেহুতু আমাদের জন্যে বোঝা একটু কঠিন। তবে আজকের এই পোস্ট পরলে বুজতে পারবেন কোনটা গ্যাস আর কোনটা হার্টের ব্যাথা । নিচে হার্টের ব্যাথার লক্ষণগুলো দেওয়া হলোঃ

  • বাম কাঁধ সহ উভয় বাহুতে তীব্র ব্যাথা হবে
  • বুকে ব্যাথা ফলে বুকে ভারিভাব বা ওজন অনুভূত হওয়া
  • আপনার হার্ট রেট বেড়ে যাবে
  • হ্রিদস্পন্দন এর গতি বেড়ে যাবে
  • অনেক ক্লান্তি ভাব আসবে 
  • শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হবে ফলে শ্বাসকষ্ট শুরু হবে
  • অতিরক্ত ঘাম হয়ে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাবে 
  • বমি বমি ভাব আসবে 
ওপরের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে বুজবেন আপনার হার্টের ব্যাথা হচ্ছে। তবে বুকের ডানপাশে যদি ব্যাথা হয় কিন্তু কোন শ্বাসকষ্ট না হয় বা বুকে পেটে ব্যাথা হয় শুধু তাহলে বুজেবন সেটা গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা। বুকে বা পেটে যদি কোনরকম ব্যাথা অনুভূত করেন দ্রুত ডাক্তারের সরানপন্ন হওয়া উচিত কারণ বর্তমান সময়ে হার্টের সমস্যা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা ভেবে বাসায় বসে থাকবেন না এতে বড় রকমের সমস্যা হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার ব্যায়াম

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার ব্যায়াম গুলো যেনে রাখা উচিত। অনেক সময় হঠাৎ অনেক ব্যাথা অনুভূত হয় গ্যাস্ট্রিকের জন্যে। ওষুধ বা কিছু খেয়েও এই ব্যাথা যদি না যায় সেক্ষেত্রে ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম করার ফলে খুব দ্রুতই আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা অনেক কমে যাবে। আসুন যেনে নেওয়া জাক গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা দূর করতে কোন কোন ব্যায়াম গুলো করবেনঃ

বুকে হাঁটু পর্যন্ত ভঙ্গি

  • পা সোজা রেখে পিঠের ওপর সুয়ে পড়ুন। 
  • ধিরে ধিরে হাঁটু দুটো ভাজ করুন এবং বাহু দুটো বুকের দিকে টানুন
  • এভাবে কিছুক্ষণ থেকে ৪ থেকে ৫ বার বড় বড় নিঃশ্বাস নিন 

বসা অবস্থায় পাশে বাঁকানো ব্যায়াম

  • মেঝেতে বসে পড়ুন এবং দুই পা দুই দিকে প্রসারিত করে দুই হাত পিছের দিকে দিন 
  • ডান হাত চারুন এবং বাম দিকে বাকুন
  • জোরে জোরে বড় নিঃশ্বাস নিন এবং ছাড়ুন
  • পাশ পরিবর্তন করুন এবং আবার বড় নিঃশ্বাস নিন

পেট মচর দেয়া ব্যায়াম

  • পিঠের ওপর সুয়ে পড়ুন, দুই পা প্রসারিত করুন এবং দুই হাত বাইরের দিকে রাখুন
  • হাঁটু বাকান এবং পা ওপরে তুলে বুকের দিকে নিয়ে আসুন
  • ধিরে ধিরে মেঝের ডান দিকে নিচের পিঠ ঘোরান, ডান দিকের মেঝে স্পর্শ করুন
  • শরীর অর্ধেক সোজা রাখুন এবং মাথা বাম দিকে ঘুরান
  • বড় বড় নিঃশ্বাস নিন একটু আরাম করে আবার করুন

মৃত দেহের মতো ব্যায়াম

  • সুয়ে পড়ুন পা এবং হাত মেঝে স্পর্শ করুন
  • চোখ বন্ধ করে বড় বড় নিঃশ্বাস নিন, কিছুক্ষণ শ্বাস ধরে রাখুন আবার শ্বাস ছাড়ুন
  • আপনার পেশী সিথিল হয়ে যাবে এভাবে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন 

পিঠের ওপর সুয়ে মোচড়ের ব্যায়াম

  • পিঠের ওপর সুয়ে পরুন
  • পায়ের তলগুলো মাটিতে রেখে হাঁটু ভাজ করুন। আপনার পিছের অংশ ১-২ ইঞ্চি বাড়ান এবং ১ ইঞ্চি দানে বাড়ান। তারপর পিঠের নিচের অংশ মেঝেতে স্পর্শ করান।
  • ডান পা সোজা রাখুন এবং বাম পা বুকের দিকে টানুন 
  • ডান পা সোজা থাকা অবস্থায় শরীরকে অল্প ডানে বাকান, জর করে বাম পা দিয়ে মেঝে স্পর্শ করবেন না
  • কিছুক্ষণ এভাবে থাকুন এবং বড় বড় নিঃশ্বাস নিন এই ব্যায়ামটি একাধিক বার করতে পারেন।

ধনুক ভঙ্গি ব্যায়াম

  • পেটের ওপর সুয়ে পরুন। হাত এবং পা প্রসারিত করুন। 
  • হাঁটু মচর দিয়ে পিঠের দিকে বাড়ান। হাতের তালু উথান এবং শরীর বাকিয়ে হাত দিয়ে পা ধরুন।
  • নিশ্চিত করুন যে আপনার মাথা ওপরের দিকে রয়েছে এবং আপনার পেলভিস মাটিতে রয়েছে।
  • ৪-৫ বার বড় বড় নিঃশ্বাস নিন। যদি কোন সমস্যা হয় এটি করতে তাহলে ব্যায়ামটি এরিয়ে যেতে পারেন।
ওপরের বর্ণিত ব্যায়াম গুলো গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা কমানর জন্যে অনেক উপযোগী। অনেক ব্যাথা হলে যদি ওষুধ বা কিছু খেয়ে না কমে আপনি তীব্র ব্যাথা অনুভূত করতে থাকেন তাহলে ব্যায়াম গুলো করতে পারেন। ফলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা অনেক কমে যাবে এবং ব্যায়াম গুলো করার জন্যে আপনার শরীর স্বাস্থ্য এবং মন সবকিছু ভালো থাকবে। ওপরের ব্যায়াম গুলো ব্যাথা কমানর জন্যে অনেক কার্যকারী ফলাফল দিবে।

অতিরিক্ত গ্যাস হবার কারণ কি

অতিরিক্ত গ্যাস হবার কারণ কি বা সাধারণত কেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় এগুলো আমাদের জানা উচিত। নয়তো প্রতিনিয়ত ভুল গুলো করে কোন একদিন বড় কোন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। গ্যাস হলে বুকে অনেক জ্বালা পড়া ও ব্যাথা হয় ফলে আমরা অনেক অস্বস্তিতে ভুগি। প্রাত্তাহিক জিবনে কিছু অনিয়মের ফলে আমাদের গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। এজন্যে প্রথমে গ্যাস হবার কারণ যেনে সেগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।

সাধারণত পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক গ্লান্ডে অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের ফলে বা এসিড জমা হবার ফলে এই গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। পাচনত্রন্তের এসিডের ভারসাম্যহীনতার ফলে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। ডেজারট হিসেবে ফল অর্থাৎ খাবারের শেষে ভরা পেটে যদি ফল খান সেগুলো দেরিতে হজম হয় ফলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। বয়স বেশি হবার ফলে হজম শক্তি দুরবল হয়ে যাবার জন্যে গ্যাসের সমস্যা হয়।

খাদ্যতালিকা জাতিয় সমস্যার কারণে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় যদি আঁশ জাতিয় খাবার কম থাকে যেমন আঁশ জাতিয় শাকসবজি বা ফল যদি খাদ্যতালিকায় না থাকে তাহলে আপনার হজম শক্তি কমে যাবে ফলে আপনার পেটে গ্যাস জমা হবে। অতিরিক্ত মসলা বা চর্বি যুক্ত খাবার খেলে পেটে জ্বালাতন করতে পারে যার ফলে বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

 জেগুল কাজের ফলে পেটের গ্যাস আরও বৃদ্ধি পায় বা আক্রমণাত্মক হয়ে যায় যেমন পেট দীর্ঘক্ষণ ফাকা রাখা অর্থাৎ না খেয়ে থাকার ফলে আপনার পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। কফি বা চা জাতিয় পানিয় যদি খালি পেটে খান বা অতিরিক্ত পান করেন তাহলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। রাতে যদি না ঘুমান মানে অনিদ্রা বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে পেটে গ্যাসের সমসা দেখা দিবে। 

কোন বাজে অভ্যাস যেমন ধূমপান বা মদ্যপান করলে গ্যাসের সমস্যা হয়। গ্যাস জাতিয় খাবার যেমন তেলে ভাজা বা ভাজা পরা, ফাস্ট ফুড বা অতিরিক্ত তেল জাতিয় খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। মূল কথা হলো যে খাবার গুলো পেটের এসিডকে উদ্দিপিত করে এবং বৃদ্ধি করে দেয় সেগুলো খাবারের ফলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

আপনার জীবনধারার ফলেও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। শারিরিক ভাবে কোন কাজ বা ব্যায়াম যদি না করেন শুধু বসে থেকে দীর্ঘদিন জীবন জাপন করলে গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ এমন জিবনযাপনের ফলে আপনার হজমের সমস্যা হতে পারে। কোন ব্যাথার ওষুধ বা অ্যান্টিবায়টিক দীর্ঘদিন খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। অনেকের আবার জেনেটিক্স মানে পারিবারিক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে ডায়েট পরিবর্তন

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে ডায়েট পরিবর্তন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেকে প্রায় বেশি সংখ্যক মানুষ এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন। নানা ওষুধ খাবার পরেও এই সমস্যা সমাধান নাও হতে পারে এবং পরবর্তীতে বড় কোন রোগের সৃষ্টি করতে পারে। অথচ শুধু আপনার জিবনযাবন ধরন বা কিছু ডায়েট পরিবর্তন করার ফলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আসুন বিস্তারিত জেনেনি

গ্যাস্ট্রিক-সমস্যা-কমাতে-ডায়েট-পরিবর্তন

খাদ্যতালিকায় আঁশ জাতিয় খাবার মানে শাকসবজি বা ফল রাখতে হবে। আঁশ জাতিয় খাবার আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে ফলে খাবার সঠিক ভাবে হজমের হলে গ্যাসের সমস্যা আর থাকবে না। সঠিক সময়ে খাবার গ্রহন সকালে দুপুরে এবং রাতে সঠিক সময়ে খাবার খেতে হবে বা পেট ফাকা রাখা যাবে না। যদি বাইরে থাকেন বা যথেষ্ট পরিমান খাবার না থাকে তাহলে সময় মতো পরিমান মতো পানি খেতে পারেন।

সময় মতো পানি খেলে পেট ফাকা থাকবেনা এবং পেটে এসিড জমা হবেনা ফলে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা আর হবেনা। অতিরিক্ত তেল বা চর্বি, ফাস্টফুড, গ্যাস জাতিয় খাবার পরিহার করা। ধূমপান মদ্যপান এর মতো খারাপ অভ্যাস বর্জন করতে হবে। ভরা পেটে ফল খাওয়া জাবেনা ফলে হজমে সমস্যা হবেনা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবেনা। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা।

ঠিকমত ঘুম পাড়তে হবে। অনিদ্রা আপনার শরীর খারাপ করে দিবে এবং গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যার কারণ। ঠিক মতো ঘুম আর অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা যাবেনা। শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে পারেন। শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করলে আপনার হজম শক্তি ভালো থাকে এবং যেকোনো খাবার দ্রুত হজম করে ফেলে ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আর থাকবেনা। ওপরের নিয়মগুল মানলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে পেটের গ্যাস দূর করবেন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে পেটের গ্যাস দূর করবেন তা যেনে রাখা ভালো। আপনি খুব সহজে ঘরোয়া উপায়ে আপনার পেটের গ্যাস দূর করতে পারবেন। পেটে গ্যাস হওয়া এখন নিত্তদিনের সমস্যা। সকল বয়সের মানুষ এই সমস্যা ভোগ করছেন। এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেটে ঘরোয়া পদ্ধতি বাবহার করতে পারেন। জেনেনিন কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে পেটের গ্যাস দূর করবেন

  • পেটে ম্যাসাজ করেঃ পেটের অপরিভাগে ম্যাসাজ করতে হবে ফলে গ্যাস অন্ত্রের নিচের দিকে চলে আসবে এবং পায়ুদারের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। বুকের হারের খাচার দিক থেকে নিচের দিকে ম্যাসাজ করুন ফলে খুব দ্রুতই গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • ফায়বার যুক্ত খাবার খাওয়াঃ হজম শক্তি বারানর জন্যে এবং পেট ভালো ও গ্যাস সমস্যা দূরীকরণে ফায়বার যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত প্রতিদিন। ছেলেদের জন্যে প্রতিদিন ৩৮ গ্রাম আর মেয়েদের জন্যে ২৫ গ্রাম ফায়বার যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
  • গরম পানিতে গোসলঃ গরম পানি হতে পারে পেটের ব্যাথা সমস্যা সমধানের কার্যকারী উপায়। গরম পানি পেটে ব্যাথা ভালো করে এবং পেটে গ্যাসও হতে দেয়না। গরম পানি দিয়ে গসল করলে অন্ত্রের চাপ কমে ফলে অন্ত্র ভালো থাকে।
  • পর্যাপ্ত পানি খাওয়াঃ পর্যাপ্ত পানি খেলে পেট ফাকা থাকেনা বা পেটে এসিড জমা হয়না ফলে পর্যাপ্ত পানি পান করলে গ্যাসের সমস্যা হবেনা।
  • ব্যায়াম করাঃ নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার হজম শক্তি ঠিক থাকবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে ফলে কোন খাবার হজম না হয়ে গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারবেনা।
  • কলা খাওয়াঃ কলা পেটের জন্যে অনেক উপকারি। পেটের কোন সমস্যা হলে ততখনাক কলা খেতে পারেন। কলা আপনার পেটের সমস্যা দূর করে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
  • দই খেতে পারেনঃ আপনারা যেনে থাকবেন দই এর মধ্যে রয়েছে ভালো ব্যাকটেরিয়া যা হজমে সাহায্য করে। দই খেলে আপনার পেটের খাবার খুব দ্রুত হজম হয়ে যাবে গ্যাসের সৃষ্টি হতে দেবেনা। তবে টক দই খেতে পারেন এটি আরও বেশি উপকারি। 
  • ডাবের পানিঃ ডাবের পানিতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। ফলে এটি খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয় খুব তারাতারি। 
  • রসুন খেতে পারেনঃ রসুন পরিপাকত্রন্তের জন্যে উপকারি একটি খাদ্য। কাচা রসুন বা ভাতের সাথে রসুন খেতে পারেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন রসুন খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা আর হবেনা।

লেখক মন্তব্য - গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়

বর্তমান সময়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একটি খুব সাধারন এবং প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ এই সমস্যাই ভুগছেন। অথচ তাদের কিছু অনিয়ম এবং জীবনযাপন ঠিকঠাক নিয়ম মতো না করায় এই সমস্যা তৈরি হয়। গ্যাস্ট্রিকের এই সমস্যা পরে কোন বড় রোগ তৈরি করতে পারে। ফলে কোন ভাবেই উচিত হবেনা এভাবে অনিয়ম করে নিজের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলা।

ওপরে আমরা আলোচনা করেছি গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায় গুলো। নিয়মগুলো প্রতিদিন ঠিক মতো মানলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আর হবেনা। নিয়মগুলো মানার ফলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য এবং মন সব কিছুই ভালো থাকবে। যদি দীর্ঘদিন ধরে এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই ভুগে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ পোষ্টে যে নিয়মগুলো লিখা আছে তা মেনে চললেই আশা করি এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url