বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা এবং ঘি খেলে কি হয় এবং অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার ফলে কি কি সমস্যা তৈরি হতে পারে সে সম্পর্কে জানবেন আজকের এই পোস্ট থেকে। ঘি সম্পর্কিত সকল সঠিক তথ্য জানবেন আজকের এই পোস্ট থেকে।
আমরা সকলেই জানি ঘি আমাদের শরীরের জন্যে অনেক উপকারি। তবে সঠিক উপকার পেতে হলে অবশ্যই নিয়ম করে খেতে এবং সঠিক সময়ে খেতে হবে। এছাড়া আপনি যদি ভুল সময়ে বা বেশি খেয়ে ফেলেন তাহল এটি আপনার জন্যে ক্ষতিকর হয়ে দারাতে পারে।
পেজ সুচিপত্রঃ বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন আজকের এই পোস্ট থেকে।
ঘি একটি পুষ্টিকর খাবার ছোট থেকে বাচ্চার সঠিক পুষ্টি নিসচায়নে ঘি এর গুরুত্ব
অনেক রয়েছে। আপনার বাচ্চাকে ছোট থেকে ঘি খাওয়াতে পারেন। পুস্তিবিদরা প্রতিদিনের
খাদ্যতালিকায় ঘি রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আসুন জেনেনি বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে।
- শক্তি প্রদান করেঃ ঘি তে থাকা উচ্চমানের স্যাচুরেটেড ফ্যাট দ্রুত শক্তি তৈরি করে ফেলে। ফলে বাচ্চাদের শরীরে শক্তি প্রয়োজন মেটাতে ঘি অনেক সাহায্য করে থাকে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ ঘি হজমে সাহায্য করে থাকে। ঘি তে থাকা এসিড অন্ত্রের সাস্থকে উন্নত করে ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ঘি অনেক সাহায্য করে থাকে।
- ত্বক ও চুলের উন্নতি করেঃ ঘি ত্বকের এবং চুলের জন্যে অনেক উপকারি। ঘি ত্বক মসৃণ করে এবং নরম করে। চুলের সাস্থের জন্যে ঘি অনেক উপকারি। বাচ্চাদের ত্বক এবং চুলের যত্নে ঘি খাওয়ানো উচিত।
- মস্তিস্কের বিকাশ ঘটায়ঃ বাচ্চাদের মস্তিস্ক দ্রুত বিকাশ ঘটাতে ঘি অনেক সাহায্য করে থাকে। ঘি তে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা মস্তিস্কের বিকাশে সহায়ক।
- প্রাকৃতিক অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরিঃ বাচ্চাদের শরীরের প্রদাহ কমাতে অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে যা ঘিয়ের মধ্যে পাওয়া যায়। যা বাচ্চাদের শারীরিক সাস্থের জন্যে অনেক উপকারি।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ঘি শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে ফলে বাচ্চাদের সহজে কোন রোগ বা অসুখ বাসা বাধে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে যায় ঘি খাওয়ার ফলে।
- প্রয়োজনীয় ভিটামিন প্রদানঃ শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন প্রদান করে থাকে ঘি। ঘি খাওয়ার ফলে কোন বাচ্চার শরীরে ভিটামিন এর অভাব দেখা দিবেনা। শরীরে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর সকল গুনাগুন নিশ্চিত করে ঘি।
ওপরের সব উপকারগুলো পাবেন বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানর ফলে। ঘি মাখন থেকে তৈরি হয় যা
একটি দুগ্ধ জাতিয় খাবার। অর্থাৎ বাচ্চাদের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি ঘি ও খাওয়াতে
পারবেন কারণ এটিও দুধ থেকে তৈরি। ছোট থেকে বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানর অভ্যাস করান
উচিত। ছোট থেকে ঘি খাওয়ার ফলে বাচ্চারা সঠিক বয়স থেকে সঠিক পুষ্টি পাবে। তবে
বাচ্চাদের সঠিক পরিমানে ঘি খাওয়ানো উচিত।
বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার নিয়ম
বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। ঘি বাচ্চাদের জন্যে
অনেক উপকারি এটা ইতোমধ্যে জেনেছেন তবে সঠিক উপকার পেতে অবশ্যই সঠিক নিয়মে ঘি
খেতে বা খাওয়াতে হবে। তবে বাচ্চাদের শরীরের ওপর নির্ভর করে ঘি খাওয়ানো উচিত।
আসুন জেনেনি বাচ্চাদের কিভাবে ঘি খাওয়াবেন।
- উষ্ণ গরম পানির মধ্যে ২ চামচ ঘি মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন
- বাচ্চার ৬ মাস বয়স থেকে ঘি খাওয়াতে পারবেন মাতৃদুধের পাশাপাশি
- অবশ্যই ঘি এর তাপমাত্রা বুঝে ঘি খাওয়াবেন তৈলাক্ত হওয়ায় বাচ্চাদের মুখ পুরে যেতে পারে
- ১ বহর বয়সি বাচ্চার জন্যে প্রতিদিন ১ চামচ করে এবং ২ বছরের বাচ্চার জন্যে ২ চামচ করে ঘি খাওয়াতে পারেন
- বাচ্চাদের চুলকানি জাতিয় সমস্যা থাকলে সেখানে ঘি মাখাতে পারেন এতে চুলকানির সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে
বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানর পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কেননা বাচ্চাদের
শরীরের ওপর নির্ভর করে ঘি খাওয়ানো উচিত কি না। তবে বাচ্চা সাথ যদি সাধারন হয়
তাহলে ওপরের নিয়মে ঘি খাওয়াতে পারেন। ওপরের নিয়মগুলো মেনে ঘি খেলে সঠিক উপকার
পাবেন। তবে ঘি বেশি খাওয়ানো উচিত নয় সঠিক মাত্রায় এটি খাওয়াতে হবে।
খাঁটি ঘি চেনার উপায়
খাঁটি ঘি চেনার উপায় সম্পর্কে জানেবন আজকের এই পোস্ট থেকে। ঘি আমাদের শরীরের
জন্যে উপকারি তবে অবশ্যই সেটি হতে হবে খাঁটি ঘি। বাজারে এমন অনেক প্রকার ঘি পাওয়া
যায় তবে আমাদের খাঁটি টা নিতে হবে। খাঁটি ঘি না খেয়ে যদি ভেজাল জাতিয় ঘি খান
তাহলে এটি আপনার উপকার করার বদলে আরও অপকার করতে পারে এবং শরীরের জন্যে ক্ষতিকর
বলে প্রমানিত হতে পারে। আসুন বিস্তারিত জেনেনি খাঁটি ঘি চেনার সহজ উপায় সম্পর্কে।
- গন্ধ পরীক্ষা করুনঃ খাঁটি ঘি একধরনের মিষ্টি যা মাখনের মতো গন্ধ ছড়ায়। এতে কোন তীব্র বা অদ্ভুত গন্ধ থাকেনা ।যদি ঘি এর গন্ধ অন্যরকম বা তীব্র হয় তাহলে সেটি ভেজাল হতে পারে।
- স্বাদ পরীক্ষা করুনঃ ঘি খেতে মিষ্টি স্বাদযুক্ত হয়। এটা ক্রিমি এবং মাখনের মতো স্বাদ হয়ে থাকে। যদি ঘি এর স্বাদ অন্যরকম বা লবানক্ত বা তৈলাক্ত ভাব হয় তাহলে এর মধ্যে ভেজাল রয়েছে।
- কোনসিস্টেসি পরীক্ষা করতে পারেনঃ ঘি ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় গেলে শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এটি গলতে শুরু করে। ভেজাল যুক্ত ঘি খুব দ্রুত গলে যায় এবং এতে তেল মিশ্রিত থাকতে পারে।
- পানি দিয়ে পরীক্ষা করুনঃ খাঁটি ঘি পানির সাথে মিশে না এটা পরিখা করতে একটি পাত্রে পানি নিন এবং তার মধ্যে একটু ঘি দিন। যদি ঘি পানির সাথে মিশতে শুরু করে বুঝবেন ঘি এর সাথে অন্যকোন উপাদান মিশ্রিত আছে আর ঘি যদি পানির নিচে পরে থাকে তাহলে বুঝবেন এটি খাঁটি ঘি।
- সাদা কাগজ বা কাপর দিয়ে পরীক্ষাঃ সাদা কাগজ বা কাপড়ের ওপর ঘি ঢেলে দিন এবং শুকানোর জন্যে অপেক্ষা করুন। ঘি শুকানোর পর যদি কাগজের ওপর তৈলাক্ত ভাব বা অন্য কিছুর চিহ্ন পাওয়া যায় তাহলে ঘি এর সাথে কিছু মিশ্রিত থাকতে পারে। যদি খাঁটি ঘি হয় তাহলে অন্য কোন পদার্থের দাগ সেখানে থাকবে না।
- রঙ পরীক্ষাঃ খাঁটি ঘি সোনালি রঙের হয়ে থাকে। তবে যদি দেখেন হলুদ বা সাদা রঙের ঘি তাহলে বুজবেন এতে রঙ মিশানো হয়েছে অর্থাৎ ভেজাল জাতিয় ঘি।
- জেলিফায় পরীক্ষাঃ খাঁটি ঘি ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় রাখলে জমে খুব শক্ত হয়ে যায় এবং গলতে অনেক সময় লাগে। তবে ভেজাল ঘি গলতে সময় লাগে না খুব দ্রুত গলে যায়।
- প্রসেসিং চিহ্নঃ ঘি তৈরির সময় অতিরিক্ত কিছু ব্যবহার করা হয়না। এজন্যে অবশ্যই ব্রান্ডের লেভেল এবং কোম্পানি সম্পর্কে সঠিক তথ্য যেনে খাঁটি ঘি চিনতে পারেন।
ওপরের প্রত্যেকটি পরিখার মাধ্যমে খাঁটি এবং ভেজাল ঘি চিনতে পারবেন খুব সহজে।
অবশ্যই চেষ্টা করবেন পরীক্ষা করে সঠিক ভেজাল মুক্ত এবং খাটি ঘি কিনার জন্যে।
বাজারে অনেক প্রকারের ঘি পাওয়া যায় এর মধ্যে এমন ঘি রয়েছে যেগুলো আপনার শরীরে
উপকারের বদলে ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তাই অবশ্যই ওপরের পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে ভেজাল
মুক্ত ঘি চিনবেন।
খাঁটি ঘি এর দাম কত
খাঁটি ঘি এর দাম কত জানতে পারবেন এই পোস্ট থেকে। আমরা ইতোমধ্যে খাঁটি ঘি এর
উপকারিতা এবং চেনার উপায় সম্পর্কে জেনেছি। তবে বাজারে অনেক প্রকারের ঘি পাওয়া যায়
যেগুলো দাম আমরা সঠিক জানিনা। ফলে খাঁটি ঘি কিনতে গেলে অনেক সময় আমরা ঠোকে যায়।
আসুন জেনেনি খাঁটি ঘি এর দাম কত
নাম | ওজন | দাম |
---|---|---|
ঘি | ১ কেজি | ১৬৭৫ টাকা |
অর্গানিক এবং খাটি ঘি | ১ কেজি | ১০০ টাকা |
পাবনার খাঁটি ঘি | ১ কেজি | ১২০০ টাকা |
পাবনার খাঁটি ঘি | ২৫০ গ্রাম | ৩৫০ টাকা |
Green Harvest মালাই ঘি | ২০০ গ্রাম | ৪০০ টাকা |
Green Grocery Touch of Purity প্যাকেজ | ১ কেজি | ২১০০ টাকা |
Home Made Pure Ghee | ১ কেজি | ১৬৫০ টাকা |
Green Grocery মুঘল বিরিয়ানি কম্বো | ১ কেজি | ১০০০ টাকা |
ঘি খেলে কি মোটা হয়
ঘি খেলে কি মোটা হয় জানবেন এই পোস্ট থেকে। আমরা ইতোমধ্যে জানি ঘি আমাদের শরীরের
জন্যে অনেক উপকারি। তবে যাদের ওজন অনেক কম বা অনেক চেষ্টা করেও মোটা হতে পারছেন
না তাদের জন্যে ঘি হতে পারে সবথেকে বেশি উপকারি। আসুন বিস্তারিত জেনেনি ঘি খেলে
কি ওজন বৃদ্ধি পায়।
ঘি একটি সুস্বাদু মিষ্টি খাবার এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি এবং ফ্যাট রয়েছে।
আমরা জানি ক্যালোরি এবং ফ্যাট উভয়ে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। অতিরিক্ত ঘি
যদি খান এবং কোন কাজ বা ব্যায়াম করে চর্বি গলিয়ে না ফেলেন তাহলে অবশ্যই ঘি খেলে
আপনি মোটা হবেন। তবে আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় স্বাস্থ্যকর মোটা হওয়া তাহলে অবশ্যই
ঘি এর পাশাপাশি সঠিক পরিমানে ক্যালোরি যুক্ত খাবার এবং শাকসবজি খেতে হবে। তাহলে
আপনি সুস্থ ভাবে দ্রুত মোটা হতে পারবেন।
ঘি বানানোর নিয়ম
ঘি বানানোর নিয়ম জানবেন আজকের এই পোস্ট থেকে। ঘি আমাদের শরীরের জন্যে অনেক
উপকারি। তবে বাজারের বিভিন্ন রকমের ঘি পাওয়া যার মধ্যে ভেজাল থাকতে পারে। এজন্যে
নকল ঘি এড়াতে চাইলে আপনি বারিতে ঘি বানাতে পারবেন। বাসায় নিজে তৈরি করার ফলে এতে
কোন ভেজাল থাকবে না এবং আপনি পাবেন খাঁটি ঘি এর সকল উপকারিতা। আসুন জেনেনি ঘি
বানানোর নিয়ম সম্পর্কে।
উপকরন
নোনতা মাখন ৫০০ গ্রাম
প্রস্তুতপ্রনালি
- মাখন গলানোঃ হ একটি পাত্রে ঘি নিয়ে সেটি চুলায় মাঝারি আচে বসিয়ে দিন এবং মাখন গলতে শুরু করলে আচ কমিয়ে দিন।
- মাখনের ফেনা এবং দুধের অংশ আলাদা করাঃ মাখন গলতে শুরু করলে এর ওপরে আদা ফেনা জমতে শুরু করবে এই ফেনা গুলোকে আলাদা করতে হবে। এগুলো মাখনের মধেকার দুধের অংশ, যা ঘি থেকে আলাদা করতে হবে।
- সোনালি রঙ ধারনঃ মাখন যখন গলে যাবে এবং এর ওপরের ফেনা সরিয়ে ফেলবেন। নিচের তরল অংশ সোনালি বর্ন ধারন করবে। তার মানে এটি ঘি তে পরিনত হচ্ছে।
- পড়ার গন্ধ না আসা পর্যন্ত জ্বাল দিনঃ মাখন ততখন জ্বাল দিতে থাকুন জতখন ন বাদামি রঙের গন্ধ আসে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তরল পুরে যেন না যায়। মাখনের নিচে যে সলিদ তরল অংশ পরে থাকবে এটি ঘি।
- ছেকে নিনঃ ঘি তৈরি হয়ে গেলে ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং তারপর পরিষ্কার কাপর দিয়ে ছেকে নিন। এর মাধ্যমে দুধের যে অবশিষ্ট অংশ তা আলাদা হয়ে যাবে।
ওপরের পদ্ধতি অবলম্বন করে বাসায় বসে ঘি বানিয়ে ফেলতে পারেন এবং উপভগ করতে পারেন
খাঁটি ঘি এর উপকার। বাজারের ভেজাল যুক্ত ঘি না খেয়ে সহজে ঘি বানিয়ে খেতে পারেন।
ওপরের উপায় সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে আপনি খাঁটি ভেজাল মুক্ত ঘি তৈরি করতে পারবেন
এবং এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণও করতে পারবেন। ঘি দির্ঘদিন ভালো থাকে। তবে শুকনো এবং
ঠাণ্ডা স্থানে রাখতে হবে।
ঘি এর ক্ষতিকর দিক
ঘি এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। আমরা শুধু ঘি এর উপকারিতা
সম্পর্কে জেনেছি তবে ঘি এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে যেগুলো বিবেচনা করে ঘি খেতে হবে।
শুধু উপকারি দিক দেখে ঘি খেয়ে পরে এটি আপনার জন্যে ক্ষতির কারণ হয়ে দারাতে পারে।
এজন্যে খাওয়ার আগে থেকে এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে যেনে রাখা উচিত। আসুন জেনেনি ঘি
খাওয়ার ক্ষতি সম্পর্কে
- উচ্চ কলেস্টরেলঃ ঘি তে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ফলে অতিরিক্ত ঘি খেলে কলেস্টরেল এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং হৃদরোগ জাতিয় সমস্যা হতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধিঃ ঘি উচ্চ ক্যালোরি পূর্ণ খাবার। প্রতিনিয়ত ঘি খেলে এবং কোন শারীরিক পরিশ্রম না করলে এটি আপনার অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি করে দিতে পারে।
- হৃদ রোগের ঝুঁকিঃ যাদের হৃদ রোগ জাতিয় সমস্যা রয়েছে তাদের ঘি না খাওয়ায় ভালো কারণ ঘি এর ফলে কলেস্টরেল বৃদ্ধি হতে পারে এবং হৃদ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
- হজমে সমস্যাঃ ঘি হজমে সাহায্য করে তবে অতিরিক্ত ঘি খেলে এটি পেটের নানা সমস্যা সৃষ্টি করে এবং গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- লিভারের সমস্যাঃ যাদের লিভার এর সমস্যা রয়েছে ঘি খাওয়ার ফলে তাদের লিভারে অতিরিক্ত চাপ পরতে পারে ফলে তাদের জন্যে না খাওয়ায় ভালো।
- ডায়াবেটিস সতর্কতাঃ ঘি রক্তে শর্করা তৈরিতে বা নিয়ন্ত্রণে বাধা দিতে পারে, কারণ এটি ইনসুনিল সংবেদনশিলতাকে প্রভাবিত করে। যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা আছে তাদের ঘি না খাওয়ায় ভালো।
- অ্যালার্জিঃ অনেকের দুগ্ধ জাতিয় খাদ্যে অ্যালার্জি থাকতে পারে, তাদের জন্যে ঘি অ্যালার্জি জাতিয় সমস্যা বা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ঘি আমাদের শরীরের জন্যে উপকার তপবে ওপরের সমস্যা গুলো তৈরি হতে পারে। আপনি যদি
পরিমান মতো ঘি খান প্রতিদিন তাহলে কোন প্রকার সমস্যা হবার কথানা। অবশ্যই নিজের
সাস্থ্যের অবস্থা বুঝে ঘি খেতে হবে। শরীরে যদি এমন কোন সমস্যা থেকে থাকে যেটা
ঘি খেলে বেড়ে যেতে পারে তাহলে ঘি খাওয়া জাবেনা। অবশ্যই খাঁটি ঘি খেতে হবে।
লেখক মন্তব্য - বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা জেনেছেন ওপরের অংশ থেকে। বাচ্চা থেকে শুরু করে
প্রত্যেকটি বয়সের মানুষের জন্যে ঘি অনেক উপকারি। সঠিক নিয়ম মেনে খেলে এটি আপনার
শরীরকে সুসাস্থে রুপান্তরিত করতে পারবে। এজন্যে ছোট থেকে ঘি খাওয়ার অভ্যাস করা
ভালো। আমাদের সম্পূর্ণ পোস্ট পরে ঘি সম্পর্কে সকল সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
তবে ঘি যদিয়ও অনেক উপকার তবে অধিক পরিমানে খাওয়া ঠিক না। অবশ্যই নিয়ম করে সঠিক
পরিমানে ঘি খেতে হবে। বাজার থেকে ঘি কিনলে অবশ্যই খাঁটি ঘি কিনা সেটি পরীক্ষা করে
নিতে হবে। তবে সবথেকে ভালো উপায় হলো আপনি বাসায় ঘি বানিয়ে খেতে পারেন এতে খাঁটি
ঘি এর নিসচায়ন থাকবে। ভেজাল ঘি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পরতে পারে।
আশা করি বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। ধন্যবাদ পাঠক।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url