পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার সহজ পদ্ধতি
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করতে পারবেন এখন খুব সহজেয় এবং বাসায় বসে। বর্তমানে খুব সহজে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারবেন পাসপোর্ট হয়েছে কিনা। ঘরে বসেয় সহজে পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করতে চাইলে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পরুন।
আপনি যদি বিদেশে যেতে চান তাহলে তো পাসপোর্ট অবশ্যই লাগবে। এই পাসপোর্ট তৈরি করতে দিয়ে অপেক্ষা করতে হয় কবে পাসপোর্ট তৈরি হবে এবং সেটি হাতে পাবেন। তবে পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে কিনা সেটাতো আগে জানতে হবে। পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার জন্যে এই পোস্টটি সম্পুর্ন পড়ুন।
পেজ সুচিপত্রঃ পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করা শিখুন খুব সহজে। বর্তমানে মানুষ ঘুরতে, কাজের জন্যে,
পড়াশোনার জন্যে বা মেডিকেল এর মতো জরুরি ভিক্তিতে বিদেশ যায়। আর এই বিদেশ যেতে
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হছে আপনার একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন। আপনি পাসপোর্ট অফিসে
গিয়ে পাসপোর্ট বানাতে দিয়ে আসলেও এটা তৈরি হতে সময় লাগে কিছুদিন। তবে বর্তমানে
ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যবহার করে সহজেয় পাসপোর্ট অবস্থা জানা সম্ভব। এই পোস্ট
থেকে শিখবেন পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করার নিয়ম।
পাসপোর্ট চেক করার পদ্ধতি
- বাংলাদেশ পাসপোর্ট সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ই পাসপোর্ট অফিসিয়াল প্রবেশ করুন।
- এবার হমপেজে"পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক " অথবা "Trac Application Status" অপশন খুজে সেখানে ক্লিক করুন
- এবার একটি ফর্ম আসবে ফর্মে আপনার তথ্যগুলো প্রদান করুন।
- Application ID নাম্বার এবং জন্ম তারিখ প্রদান করুন
- সঠিক তথ্য দেবার পর Submit অথবা chek status বাটান এ ক্লিক করুন
- আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা দেখতে পারবেন।
সরাসরি অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক
- আবেদন ফর্মের কপি
- পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ
- জাতিয় পরিচয় পত্রের কপি
ওপরের কাগজ বা ডকুমেন্টগুলো পাসপোর্ট অফিসে জমা দিলে তারা আপনাকে আপনার
পাসপোর্ট এর বর্তমানে কতটুকু তৈরি হয়েছে তা জানিয়ে দিবে।
ডেলিভারি স্লিপ দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- বাংলাদেশ পাসপোর্ট সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ই পাসপোর্ট অফিসিয়াল প্রবেশ করুন।
- আপানার ডেলিভারি স্লিপে থাকা Application ID নাম্বার এবং জন্ম তারিখ লিখুন
- কোন ক্যপচা থাকলে পুরন করে Submit অথবা chek বাটনে ক্লিক করুন
এসএমএস এর মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
- মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যান
- লিখুন START EPP লিখে Application ID লিখুন
- ১৬৪৪৫ নাম্বারে সেন্ট করুন
- তারা এসএমএস এর রিপ্লায় হিসেবে আপনাকে জানিয়ে দিবে পাসপোর্ট হয়েছে কিনা
ওপরের পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে বাসায় বসেয় পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন।
তবে আবেদন করার পর স্ট্যাটাস চেক করার জন্যে কিছুদিন অপেক্ষা করুন। পাসপোর্ট
তৈরি হতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগতে পারে। অনেক সময় অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করতে
সমস্যা হতে পারে তবে চিন্তা করবেন না এটা সাধারন। তবে সবসময় সঠিক তথ্য ব্যবহার
করবেন তাহলে আপনি পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা দেখতে পাবেন।
ই পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক
ই পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করতে হলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। বর্তমানে ই
পাসপোর্ট চেক করা অনেক সহজ এবং দ্রুত প্রক্রিয়া। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসে আপনি
আপনার পাসপোর্ট এর অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। অবশ্যই সঠিক সময়ে পাসপোর্ট চেক
করতে হবে কারণ পাসপোর্ট তৈরি হতে সময় প্রয়োজন। আসুন জেনেনি কিভাবে ই পাসপোর্ট চেক
করবেন।
- e passport chek ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- এবার হমপেজে"পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক " অথবা "Trac Application Status" অপশন খুজে সেখানে ক্লিক করুন
- একটি ফর্ম আসবে সেটি পুরন করুন
- Application ID: ই পাসপোর্ট আবেদন নাম্বার
- Date of Birth: কাগজ অনুযায়ী আপনার জন্ম তারিখ
- Submit এ ক্লিক করুন
আরও পড়ুনঃ আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
সাবমিট করার পর আপনি আপনার পাসপোর্ট এর অবস্থা বুজতে পারবেন এটি তৈরি হয়েছে কি
এখনো হয়নি। তবে অনেক সময় কোন ত্রুটির কারণে ফলাফল নাও আসতে পারে সেক্ষেত্রে
আপনি আবার চেষ্টা করতে পারেন। সাবমিট করার পূর্বে দেখে নিবেন সব কিছু ঠিক আছে
কিনা। ই পাসপোর্ট আবেদন নাম্বার এবং জন্ম তারিখ সঠিক দিতে হবে নাহলে আপনি ফলাফল
নাও পেতে পারেন।
পাসপোর্ট স্ট্যাটাস জানার উপায়
পাসপোর্ট স্ট্যাটাস জানার উপায় জানবেন আজকের এই পোস্ট থেকে। পাসপোর্ট চেক করার
সময় সাবমিট করার পর অনেক স্ট্যাটাস আসতে পারে জেগুলো হয়তো বুজতে পারবেন না কোনটার
মানে কি। সাধারণত বিভিন্ন সমস্যা বা পাসপোর্ট রেডি করতে যেসব প্রয়োজন সেসবের কোন
একটি সমস্যা থাকলে বা প্রক্রিয়া রত অবস্থায় থাকলে এই স্ট্যাটাস গুলো দেখায়। আসুন
জেনেনি পাসপোর্ট স্ট্যাটাস সম্পর্কে।
পাসপোর্ট স্ট্যাটাস | স্ট্যাটাস এর মানে |
---|---|
Payment Verification Result - Name Mismatch | চালানে থাকা নাম এবং পাসপোর্ট আবেদনে থাকা নামের মাঝে অমিল খুজে পাওয়া গেছে |
Your Application is pending on payment investigation | পাসপোর্ট আবেদন ফি এবং পেমেন্ট চালান এর পরিমানে অমিল রয়েছে |
Pending of Assistant Director/ Deputy Director Approval | Pending of Assistant Director/ Deputy Director Approval এর অনুমোদনের জন্য অপেখায় রয়েছে |
Pending SB Police Clearance | পাসপোর্টটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর অপেক্ষায় রয়েছে |
Pending for Passport Personalization | পাসপোর্ট তৈরির কাজ চলমান রয়েছে |
Pending of Backend Verifacition | পাসপোর্ট এ দেয়া সকল তথ্য চেক করা হচ্ছে |
In Printer Queuse | পাসপোর্ট প্রিন্ট হবার অপেক্ষায় রয়েছে |
Printing Succeeded | পাসপোর্ট সফলভাবে প্রিন্ট হয়েছে |
Passport Shipped | আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট দেলিভার করা হয়েছে |
QC Succeed, Ready for Dispatch | পাসপোর্ট এর কোয়ালিটি ঠিক আছে নাকি তা চেক করা হচ্ছে |
Passport is ready for Issuance |
এটির অর্থ আপনার পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে আপনি পাসপোর্টের স্লিপ নিয়ে অফিস
থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন |
পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে জানবেন এই পোস্ট থেকে। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকের
নিজস্ব পাসপোর্ট তৈরি করে রাখা উচিত। পাসপোর্ট তৈরি করতে অনেকগুলো কাগজপত্রের
প্রয়োজন হয়। সঠিক কাগজগুলো জমা দেয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার পাসপোর্ট তৈরি করে ফেলতে
পারেন। তবে পাসপোর্ট এর ধরন অনুযায়ী কিছু কাগজের পরিবর্তন হতে পারে। আসুন জেনেনি
বাংলাদেশে পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে।
পাসপোর্ট তৈরির জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জাতিয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বরঃ আবেদন কারির বয়স ১৮ বেশি হলে এনআইডি অবশ্যক।
- জন্ম নিবন্ধন সনদঃ ১৮ বছরের নিচে বয়স হলে জন্মসনদ লাগবে।
- ছবিঃ ছবি তোলার জন্যে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে এবং বায়োমেট্রিক ছবি ওখানে উঠিয়ে আসতে হবে।
- আঙ্গুলের ছাপঃ আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার জন্যে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।
- ঠিকানার প্রমান পত্রঃ বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট যেকোনো একটি যেটি সঠিক ভাবে আপনার ঠিকানার প্রমান দিতে পারবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদঃ শিক্ষার্থী হলে প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড বা সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
- পাসপোর্ট ফি জমার রশিদঃ পাসপোর্ট তৈরির জন্যে নির্ধারিত ফি জমা দিলে ব্যাংক থেকে টাকার রশিদ দিবে যেটা পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
- ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্যে অভিভাবকের তথ্যঃ জন্মসনদ সহ পিতামাতা বা আইনগত অভিভাবকের জাতিয় পরিচয়পত্র।
- যদি থাকে তাহলে পুরন পাসপোর্টঃ পুর্বে কোন পাসপোর্ট তৈরি করা থাকলে সেটি জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট তৈরির ধাপ
- অনলাইনে আবেদন করুনঃ ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করুন। অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করুন তাহলে একটি অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার পাবেন।
- পাসপোর্ট ফি জমা দিনঃ পাসপোর্টের ফি নির্ধারন করা হয় পাসপোর্টের মেয়াদ এবং জরুরি/অজরুরি ওপর ভিত্তি করে। ফি বাঙ্কে জমা দিতে হবে অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অথবা সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও জমা দিতে পারে।
- পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হনঃ নির্ধারিত সময়ে এবং তারিখে পাসপোর্ট অফিসে যান। আঙ্গুলের ছাপ এবং ছবি নেয়া হবে সরাসরি।
- যাচায় প্রক্রিয়াঃ আপনার সকল তথ্য সঠিক কিনা তা ভেরিফিকেশন করার জন্যে স্থানীয় পুলিশ আপনার বাসায় বা এলাকায় যেতে পারে।
- অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করুনঃ ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে তথ্য পুরন করে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা জানতে পারেন।
- পাসপোর্ট তৈরি হলে সংগ্রহ করুনঃ পাসপোর্ট তৈরি হলে অফিস থেকে সেটা সংগ্রহ করুন।
পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া এভাবে সম্পূর্ণ হয়। তবে অনেকের পাসপোর্ট তৈরি হতে
একটু বেশি সময় লাগতে পারে কারও একটু কম। যদি আপনার তথ্যে কোন ভুল থাকে তাহলে
পাসপোর্ট তৈরি হবেনা। সঠিক কাগজ এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে খুব দ্রুতয় পাসপোর্ট
হাতে পেয়ে জাবেন। তবে যদি কোন বিশেষ কারণ বা জরুরি থাকে তাহলে জরুরি প্রসেস
সিলেক্ট করে দ্রুত পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে পারবেন সেক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি
হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে এবং কিভাবে এটি রিনিউ করবেন তা জানবেন এই পোস্ট
থেকে। পাসপোর্টের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে যেমনঃ ৫ বছর, ১০ বছর এবং ১৫ বছর।
যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ তাদের অবশ্যই এটি রিনিউ করতে হয়, কারণ রিনিউ না
করলে এটি দিয়ে আপনি কোন কাজ করাতে পারবেন না। যারা বিদেশে থাকেন তারা সেখানে
বাংলাদেশ দুতাবাস থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন এবং যারা যারা দেশে আছেন
তারা আঞ্চলিক বা বিভাগিয় কোন পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করে নিতে
পারবেন। আসুন জেনেনি পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
- পুরাতন পাসপোর্টঃ মূল পাসপোর্ট জমা দিতে হতে পারে। পাসপোর্ট এর প্রথম পৃষ্ঠা এবং শেষ পৃষ্ঠার ফটোকপি প্রয়োজন।
- জাতিয় পরিচয়পত্রঃ মূল এনআইডি এবং এনআইডি ফটোকপি। যদি অনলাইন এনআইডি থাকে তাহলে সেটার ফটোকপি।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবিঃ নির্ধারিত মাপের ২ থেকে ৩ কপি ছবি। সঠিক মাপ ৫৫*৪৫ মিঃমিঃ
- অতিরিক্ত ডকুমেন্ট (যদি প্রয়োজন হয়)ঃ নাম পরিবর্তনের জন্যে বা কোন তথ্য পরিবর্তনের জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। জন্মসনদ বা বিবাহসনদ (যদি প্রয়োজন হয়)।
পাসপোর্ট রিনিউ করার প্রক্রিয়া
- প্রথমে ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পুরন করে আনেদন করতে হবে।
- ফর্ম পুরনের সময় সকল তথ্য দিতে হবে এবং ফি কমা দিতে হবে
- আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। নির্ধারিত দিনে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি, আঙ্গুলের ছাপ এবং স্বাক্ষর দিয়ে আসতে হবে।
- ডকুমেন্ট জমাঃ নির্ধারিত দিনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
- পাসপোর্ট সংগ্রহঃ নির্ধারিত দিনে বা অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করে পাসপোর্ট হয়ে গেলে এটি সংগ্রহ করুন।
পাসপোর্ট রিনিউ ফি
- সাধারন রিনিউ ফিঃ ৩,৪৫০ টাকা (১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ডেলিভারি)
- জরুরি রিনিউ ফিঃ ৬,৯০০ টাকা (৭ কর্মদিবসের মধ্যে ডেলিভারি)
প্রবাসিদের পাসপোর্ট রিনিউ পদ্ধতি
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
- পুরাতন পাসপোর্টঃ মূল পাসপোর্ট জমা দিতে হতে পারে। পাসপোর্ট এর প্রথম পৃষ্ঠা এবং শেষ পৃষ্ঠার ফটোকপি প্রয়োজন।
- জাতিয় পরিচয়পত্রঃ মূল এনআইডি এবং এনআইডি ফটোকপি। যদি অনলাইন এনআইডি থাকে তাহলে সেটার ফটোকপি।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবিঃ নির্ধারিত মাপের ২ থেকে ৩ কপি ছবি। সঠিক মাপ ৫৫*৪৫ মিঃমিঃ
- ভিসা বা রেসিদেন্স কার্ডের ফটোকপিঃ আপনি জে দেশে বসবাস করছেন সে দেশের ভিসা বা রেসিদেন্স কার্ডের ফটোকপি।
- ফি পরিশোধের রশিদঃ পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রশিদ।
অনলাইনে আবেদন ফর্ম
- ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রবাসিদের জন্যে নির্ধারিত ফর্ম পুরন করতে হবে
- বর্তমান ঠিকানা, ইমিগ্রেসন তথ্য এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ডকুমেন্ট আপলোড করুন।
- আবেদন জমা দেওয়ার পর অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার পাবেন।
নিকতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যোগাযোগ
- অনলাইনে আবেদন করার পর নিকতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন
- নির্ধারিত দিনে আঙ্গুলের ছাপ, ছবি এবং স্বাক্ষর দিয়ে আসুন।
পাসপোর্ট ডেলিভারি প্রসেস
- পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গেলে দূতাবাস থেকে ইমেল বা এসএমএস মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
- পাসপোর্ট তৈরি হয়ে দূতাবাস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।
সময় থাকতে আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ না করে তাহল এটি দিয়ে কোন কাজ করতে পারবেন
না। ওপরের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং সঠিক ফি জমা দেওয়ার পর আপনি আপনার পাসপোর্ট
রিনিউ করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি আঞ্চলিক এলাকায় পাসপোর্ট
আফিস রয়েছে সেখান থেকে অথবা অনলাইন এর মাধ্যমেও পাসপোর্ট রিনিউ করতে
পারবেন।
পাসপোর্ট ফি
পাসপোর্ট ফি সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। বিভিন্ন ভাবে পাসপোর্ট তৈরির ফি
পরিবর্তন হতে পারে। পাসপোর্ট বানাতে দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই জানা উচিত পাসপোর্ট
বানাতে ফি কত টাকা লাগে। আসুন বিস্তারিত জেনেনি পাসপোর্ট ফি সম্পর্কে।
৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ফি
- সাধারন প্রক্রিয়াঃ ৩,৪৫০ টাকা
- জরুরি প্রক্রিয়াঃ ৬,৯০০ টাকা
- অতি জরুরি প্রক্রিয়াঃ ১১,৫০০ টাকা
১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট ফি (এটি শুধু ১ বছরের বেশি বয়সিদের জন্যে)
- সাধারন প্রক্রিয়াঃ ৫,৭৫০ টাকা
- জরুরি প্রক্রিয়াঃ ১১,৫০০ টাকা
- অতি জরুরি প্রক্রিয়াঃ ১৭,২৫০ টাকা
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট
- সাধারন প্রক্রিয়াঃ ৩,৪৫০ টাকা
- জরুরি প্রক্রিয়াঃ ৬,৯০০ টাকা
- অতি জরুরি প্রক্রিয়াঃ ১১,৫০০ টাকা
পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার পদ্ধতি
- ব্যাংকঃ নিকটস্থ সোনালি, অগ্রাহনি, জনতা যেকোনো একটি ব্যাঙ্কের যেকোনো শাখায় যান এবং পাসপোর্ট অফিস থেকে ফি জমার ফর্ম সংগ্রহ করে সেটি সঠিক তথ্য লিখে ফি এবং ফর্মটি জমা দিন। ব্যাংক থেকে একটা রশিদ দিবে সেটা সংগ্রহ করে রাখুন।
- মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্টঃ বিকাশ, রকেট, নগদ যেকোনো টির অ্যাপ থেকে পেমেন্ট অপশন এ যান এবং বিল হিসেবে পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন করুন। পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার জন্যে সকল তথ্য দিয়ে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন। পেমেন্ট সফল হলে একটি ফি রশিদ পাবেন।
- অনলাইনে পেমেন্টঃ ই পাসপোর্ট অফিসিয়াল সাইটে গিয়ে আপনার অ্যাপ্লিকেশন লগিন করে নিন। ফি প্রদানের জন্যে Pay Fees অপশনে ক্লিক করে পেমেন্ট মেথড যেমন ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড বা যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করে পেমেন্ট করে দিতে পারবেন। পেমেন্ট সম্পুর্ন হলে ফি রশিদ পাবেন।
যে পদ্ধতিতেই জমা দিন অবশ্যই ফি রশিদ নিয়ে নিবেন এবং এটা অনেক গুরত্তপুর্ন একটি
কাগজ যা পাসপোর্ট উঠানোর সময়ে কাজে লাগবে। জমার রশিদ হারিয়ে গেলে এটা আবার
পুনরুদ্ধার করা অনেক কঠিন তাই এটি নিরাপদে রাখুন। পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া অনেক
সহজ। আপনি চাইলে উপরোক্ত যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করে ফি পরিশোধ করতে
পারেন।
লেখক মন্তব্য - পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক আর্টিকেল এর মাধ্যমে পাসপোর্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য আলচনা
করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট কিভাবে বানাতে দিবেন কত
টাকা খরচ এবং কি কি ডকুমেন্ট লাগবে সবকিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে নিজের পরিচয় হিসেবে সবার পাসপোর্ট থাকা উচিত। এছাড়া জরুরি ভিক্তিতে
কখন বিদেশ যাওয়ার প্রয়জন হয় তা ঠিক নেই এজন্যে একটি পাসপোর্ট থাকা উচিত।
পাসপোর্ট বানানো এখন অনেক সহজ বাসা থেকে অনলাইন আবেদন করে পাসপোর্ট তৈরি করতে
পারবেন। শুধু ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার জন্যে আপনার কাছের পাসপোর্ট অফিসে যেতে
হবে। এরপর অনলাইনে চেক করতে পারবেন আপনার পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে কিনা। পাসপোর্ট
তৈরি হয়ে গেলে পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনার পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে পারবেন। ধন্যবাদ
পাঠক।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url