সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যেনে অবাক হবেন কারণ এর অসংখ্য গুনাবলি রয়েছে।
সাবুদানা একটি পুষ্টিকর খাদ্য যা সাগু গাছের মূল থেকে প্রস্তুত করা হয়। সাবুদানার
পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানলে এটি খাদ্য তালিকায় রাখার
গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হবেন। আসুন এই পোস্ট থেকে সাবুদানা সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনেনি।
আপনি বিভিন্ন ভাবে সাবুদানা খেতে পারেন, তবে যেভাবেয় খান না কেনো এর উপকার ভোগ
করতে পারবেন। সাবুদানার হাল্কা স্বাদ এবং বহুমুখিতা এটিকে বিভিন্ন খাবারের
রেসিপিতে অন্তরভুক্ত করার সু্যোগ করে দেয়। সম্পুর্ন পোস্ট জুরে সাবুদানা সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পেজ সুচিপত্রঃ সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা
সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা
সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। সাবুদানা একটি
সহজপ্রাচ্য এবং শক্তি সরবারাহের জন্যে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয়। প্রাচিনকাল থেকেয়
সাবুদানা আদর্শ খাওয়ার হিসেবে বিবেচিত। সাবুদানা খাওয়ার একাধিক উপকারিতা রয়েছে,
যা জানলে আপনি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সাবুদানা রাখার বিষয়টা আরও স্পষ্ট হতে
পারবেন। আসুন সাবুদানা খাওয়ার সকল উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেনি।
-
শক্তি সরবারাহ করেঃ সাবুদানা উচ্চ মাত্রায় কার্বহায়ড্রেড সরবারাহ করে,
যা শরীরকে দ্রুত শক্তি দেয়। বিশেষ করে যখন দির্ঘক্ষন না খেয়ে থাকা যেমনঃ রোজা
বা উপস করার সময় খাওয়ার জন্যে অনেক উপযোগী এবং উপকারি।
-
হজমে সহায়কঃ এটি সহজপাচ্য হওয়ায় হজম সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের
জন্যে সহজ একটি খাবার। এটি অন্ত্রের সাস্থের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
-
ওজন বাড়াতে সহায়কঃ এতে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি থাকে তাই যারা দ্রুত
ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্যে কার্যকর বিকল্প।
-
হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ সাবুদানায় ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং
ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
-
গ্লুটেনমুক্ত খাবারঃ গ্লুটেনমুক্ত খাবার হওয়ায় গ্লুটেন সংবেদনশীল
ব্যাক্তিদের জন্যে আদর্শ খাবার।
-
ত্বক এবং চুলের যত্নে উপকারিঃ সাবুদানার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুনাবলি
ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ এতে পটাশিয়াম রয়েছে, যা রক্ত চাপ স্বাভাবিক
রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদ যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
-
শরীর ঠাণ্ডা রাখেঃ গরমের সময় শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাবুদানা কার্যকর
ভূমিকা পালন করে।
সাবুদানা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে বহুমুখি উপকার বয়ে আনে। সঠিক উপায়ে
খাদ্যতালিকায় সাবুদানা অন্তর্ভুক্ত করলে এটি স্বাস্থ্যরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা
পালন করবে। সাবুদানার উপকারিতা পেতে এটি আপনি বিভিন্ন ভাবে খেতে পারেন যেমন
খিচুরি, পায়েস বা স্ন্যাকস হিসেবে। আপনি আপনার ইচ্ছে মতো যেকোনো ভাবে সাবুদানা
খেতে পারেন এটি সেভাবেই আপনার স্বাস্থ্য উন্নতি ঘটাবে।
বাচ্চাদের সাবু খাওয়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের সাবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। বাচ্চাদের পুষ্টি
চাহিদা পূরণে সাবুদানা একটি আদর্শ খাবার। এটি বাচ্চাদের শরীরে দ্রুত শক্তি
সরবারাহ সহ আরও অনেক উপকার করে থাকে। সাবুদানার হাল্কা স্বাদ এবং নরম টেক্সটচার
বাচ্চাদের জন্যে সহজ এবং আনন্দদায়ক খাবার করে তলে। আপনি বাচ্চাদের পুষ্টি চাহিদা
মেটাতে নিঃসন্দেহে সাবুদানা খাওয়াতে পারেন। আসুন শিশুদের সাবু খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে জেনেনি।
-
শক্তি সরবারাহ করেঃ সাবুদানায় উচ্চ মাত্রায় কার্বহায়ড্রেড থাকে, যা
বাচ্চাদের সারাদিনের কার্যকলাপের জন্যে প্রয়োজনীয় শক্তি জগায়।
-
সহজপাচ্য খাবারঃ এটি হজমে সহজ এবং বাচ্চাদের জন্যে হাল্কা খাবার
হিসেবে আদর্শ। পেটের অস্বস্তি ভাব বা সমস্যার সময় সাবুদানা দারুন
উপকারি।
-
ওজন বৃদ্ধি তে সহায়কঃ যেসব বাচ্চারা দুর্বল বা কম ওজনের, তাদের জন্যে
সাবুদানা অনেক উপকারি। কারণ এটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতি
পুরন করতে সহায়ক।
-
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান
বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, যা তাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য
করে।
-
পানিশূন্যতা দূর করেঃ গরমের সময় সাবুদানা বাচ্চাদের শরীর ঠাণ্ডা রাখতে
এবং পানিশূন্যতা রোধে সহায়তা করে।
-
মানসিক বিকাশে সহায়কঃ সাবুদানার পুষ্টি উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম এবং
ফসফরাস বাচ্চাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং মানসিক বিকাশে ভূমিকা
রাখে।
-
গ্লুটেনমুক্ত এবং নিরাপদঃ গ্লুটেনমুক্ত হওয়ায় এটি বাচ্চাদের জন্যে
একটি নিরাপদ খাবার, বিশেষত যাদের গ্লুটেন-অ্যালার্জি আছে।
বাচ্চাদের খুব সহজে আপনি সাবুদানা খাওয়াতে পারবেন। সাবুদানা এমন ভাবে তৈরি যা
বাচ্চারা সহজে খেতে পারে এবং হজম হয় দ্রুত। সঠিক নিয়মে সাবুদানা বাচ্চাদের
খাওয়ালে ওপরের সব উপকারগুলো পাবেন। সাবুদানা বিভিন্ন স্বাদ যুক্ত খাবার যেমন
পায়েস, সুপ বা খিচুরি হিসেবে পরিবেশন করা যায়। যা বাচ্চাদের জন্যে স্বাস্থ্যকর
এবং মজাদার। তবে এর কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো অবশ্যই যেনে নিবেন
আমাদের পোস্ট এর মাধ্যমে।
বাচ্চাদের সাবু খাওয়ার অপকারিতা
বাচ্চাদের সাবু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে সকল তথ্য জানবেন এই পোস্ট থেকে। আমরা
ইতোমধ্যে জেনেছি সাবু বাচ্চাদের জন্যে অনেক উপকারি তবে সঠিক নিয়মে না খাওয়ালে বা
অধিক পরিমানে খাওয়ালে এটি পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে। অবশ্যই উপযুক্ত
উপায়ে এবং সঠিক পরিমানে খাওয়াতে হবে। বাচ্চাদের সাবু খাওয়ানর সময় সতর্কতা অবলম্বন
করা উচিত। আসুন শিশুর সাবু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেনি।
-
অতিরিক্ত কার্বহায়ড্রেডঃ সাবুদানায় কার্বহায়ড্রেড এর পরিমান বেশি এবং
প্রোটিন ও ফাইবারের পরিমান কম। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে
যেতে পারে এবং শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
-
পুষ্টির ঘাটতি সৃষ্টিঃ সাবুদানা একক ভাবে খাওয়ালে পুষ্টির
ভারসাম্যহিনতা দেখা দিতে পারে। কারণ এতে ভিটামিন, প্রোটিন এবং অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের অভাব রয়েছে।
-
হজম সমস্যাঃ যদি সাবুদানা সঠিক ভাবে রান্না না করা হয়, তবে এটি
বাচ্চাদের হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। কখনও কখনও বাচ্চার পেট ফাপার কারণ হতে
পারে এই সাবুদানা।
-
ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকিঃ সাবুদানায় থাকা উচ্চ ক্যালোরি উপাদান বেশি পরিমানে
খাওয়ালে বাচ্চাদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সম্ভবনা থাকে।
-
অ্যালার্জির ঝুঁকিঃ সাধারণত বাচ্চাদের এই সমস্যা হয় না তবে কিছু কিছু
ক্ষেত্রে হতেও পারে, সাবুদানার ফলে বাচ্চাদের অ্যালার্জির সমস্যা হতে
পারে।
-
পরিমিত পরিমানে খাওয়ার প্রয়জনঃ বেশি খাওয়ালে বাচ্চারা দ্রুত ভরপেট
অনুভব করতে পারে, ফলে তারা অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার কম খেতে পারে।
-
রক্তচাপ কমানোর প্রভাবঃ সাবুদানায় পটাশিয়ামের উপস্থিতি রক্ত চাপ কমাতে
সাহায্য করে, তবে অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে এটি বাচ্চাদের স্বাভাবিক রক্ত চাপের
ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
অনিয়ম ভাবে খাওয়ালে বা অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়ালে ওপরের সমস্যাগুলো দেখা দিতে
পারে। সাবুদানাকে পরিমিত পরিমানে এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানের সাথে মিশিয়ে
খাওয়ানো উচিত। খাওয়ায়র পুর্বে অবশ্যই সঠিক ভাবে রান্না করতে হবে এবং ভারসাম্য
রেখে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে তাহলে অপকারিতা বা ক্ষতির কোন ঝুঁকি বা
সম্ভাবনা থাকবে না।
সাবুদানা খাওয়ার নিয়ম
সাবুদানা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি
সাবুদানা আমাদের শরীরের জন্যে অনেক উপকারি। তবে সঠিক উপকার পেতে হলে অবশ্যই সঠিক
নিয়মে সাবুদানা খেতে হবে। স্নাকস, ডেজার্ট বা প্রধান খাবার হিসেবেও আপনি সাবুদানা
খেতে পারেন। এই সম্পুর্ন পোস্ট থেকে সাবুদানা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আসুন
সাবুদানা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেনি।
সাবুদানা ভিজিয়ে নেওয়া
-
ভিজিয়ে রাখার সময়ঃ সাবুদানা রান্নার পুর্বে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
-
পানির পরিমানঃ পানির পরিমান সাবুদানার তুলনায় একটু বেশি হওয়া উচিত। তবে খুব
একটা বেশি না কারণ তাহলে সাবুদানা ভেঙে নরম হয়ে যেতে পারে।
রান্নার উপায়ঃ খিচুরি
-
সাবুদানা ভিজিয়ে রাখার পর পানি ঝরিয়ে নিন
- আলু ছোট টুকরা করে ভেজে নিন
-
সরষে, কড়ি পাতা, আদা এবং মরিচ দিয়ে ফোড়ন দিন
-
সাবুদানা, ভাজা আলু, চিনা বাদাম বা নারকেল যোগ করুন এবং হাল্কা নেড়ে রান্না
করুন
রান্নার উপায়ঃ পায়েস
- দুধ ফুটিয়ে চিনি যোগ করুন
- সাবুদানা ভিজিয়ে নিয়ে দুধে দিন
-
নরম হয়ে এলে কাজু বাদাম, কিসমিস এবং এলাচ যোগ করে রান্না শেষ করুন
রান্নার উপায়ঃ তেল ভাজা বা চপ
-
ভিজিয়ে রাখা সাবুদানা আলুর সঙ্গে মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করুন
- ইচ্ছে মতো মশলা দিন
- চপ বা বলের আকারে গড়ে তেলে ভেজে নিন
সময় অনুযায়ী খাওয়ার নিয়ম
-
সকালেঃ হাল্কা ব্রেকফাস্ট হিসেবে সাবুদানা খিচুড়ি
-
উপবাসেঃ দুধ ও সাবুদানা পায়েস বা খিচুড়ি শক্তি জোগায়
-
সন্ধায়ঃ স্ন্যাকস হিসেবে চপ বা ভাজা সাবুদানা
ওপরের উপায়গুলো ব্যবহার করে আপনি সাবুদানা খেতে পারেন। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত তেল
বা মশলা সাবুদানার সাথে ব্যবহার করবেন না এর ফলে ক্ষতিকর প্রভাব পরতে পারে।
সাবুদানা দিয়ে তৈরি খাদ্যকে আরও পুষ্টি সম্পুর্ন তৈরি করতে ফল বা বাদাম যুক্ত
করতে পারেন। তবে যাদের ডায়াবেটিস এর সমস্যা রয়েছে তারা নিয়ন্ত্রণ করে সাবুদানা
খাবেন কারণ এটি শর্করা যুক্ত খাবার। বিভিন্ন ভাবেই সাবুদানা খাওয়া যায়, আপনি
আপনার রুচি এবং প্রয়োজন মতো প্রস্তুত করতে পারবেন।
সাবুদানা খেলে কি মোটা হয়
সাবুদানা খেলে কি মোটা হয় জানবেন এই পোস্ট থেকে। সাবুদানা একটি পুষ্টিকর খাবার যা
বাচ্চা থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষরা খেতে পারেন। সাবুদানার অনেক উপকারি গুণ
রয়েছে যা আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি। সাবুদানা খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে এর
পরিমান, প্রস্তুত পদ্ধতি এবং আপনার প্রতিদিন ক্যালোরি গ্রহনের ওপর। আসুন জেনেনি
সাবুদানা খেলে কি ওজন বাড়ে।
সাবুদানা খাওয়ার ফলে মোটা হওয়ার কারণ
-
উচ্চ কার্বহায়ড্রেডঃ সাবুদানার প্রধান উপাদান শ্বেতসার যা শরীরে
গ্লুকোজে রুপান্তরিত হয়ে অতিরিক্ত ক্যালোরি সরবারাহ করে।
-
চিনি ও তেলঃ সাবুদানা দিয়ে তৈরি পায়েস বা ভাজা চপের মতো খাবারে চিনি ও
তেলের উপস্থিতি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
-
অলস জীবনযাপনঃ শারীরিক পরিশ্রম না করলে সাবুদানার ক্যালোরি দ্রুত জমে
গিয়ে চর্বিতে পরিনত হতে পারে।
সাবুদানা যেভাবে খেলে মোটা হবেন না
- পরিমিত পরিমানে সাবুদানা খান
- চিনি ও তেলের ব্যবহার সিমিত করুন
-
সবজি, বাদাম ও দুধের মতো পুষ্টিকর উপাদান যোগ করে সুষম খাবার তৈরি করুন
- নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন
আপনি যদি সাবুদানা খেয়ে মোটা হতে চান সেটাও সম্ভব। এছাড়া আপনি যদি সাবুদানা
খেয়ে মোটা না হতে চান সেটাও সম্ভব। যদি মোটা হওয়া হয় আপনার মূল লক্ষ্য তাহলে
প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমানে সাবুদানা খেতে হবে এবং উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার
তার সাথে যুক্ত করতে হবে। শক্ত কোন পরিশ্রম না করে প্রতিদিন সাবুদানা খেলে আপনি
মোটা হতে পারবেন। ওপরে এটি এড়িয়ে চলার উপায়ও জানানো হয়েছে।
সাবুদানার দাম কত
সাবুদানার দাম কত জানবেন এই পোস্ট থেকে। মুলত পুষ্টিকর সাবুদানা একটি পুষ্টিকর
খাবার। ফলে মানুষের চাহিদা জন্মায় এটি খাওয়ার জন্যে। অনেকে সাবুদানার সঠিক দাম
জানেন না কারণ বাজারে অনেক রকমের সাবুদানা পাওয়া যায়। নকল সাবুদানা এড়াতে বা
প্রতারিত না হতে চাইলে অবশ্যই সাবুদানার দাম যেনে নেওয়া উচিত। আসুন জেনেনি
সাবুদানার মুল্য কত
-
৫০০ গ্রাম সাবুদানাঃ কিছু অনলাইন শপে ১১০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে
জাবেন।
-
১ কেজি সাবুদানাঃ কিছু বিক্রেতার কাছে ৫০০ টাকার মধ্যে পেয়ে
জাবেন।
ওপরের দাম গুলো পরিবর্তন হতে পারে। তবে সাধারণত এর মধ্যে দাম উঠা নামা করে।
অনেক দোকানে এর থেকে বেশিও চাইতে পারে তবে চেষ্টা করবেন এর মধ্যে নেওয়ার কারণ
এটিই সঠিক দাম। সঠিক এবং সর্বশেষ দাম জানতে আপনি অনলাইন চেক করতে পারেন বা
আপনার নিকটের বা স্থানীয় বাজারে খোজ নিতে পারেন। অবশ্যই ভেজাল মুক্ত খাঁটি
সাবুদানা চেক করে নিবেন।
সাবুদানা খেলে কি ঠাণ্ডা লাগে
সাবুদানা খেলে কি ঠাণ্ডা লাগে জানবেন এই পোস্ট থেকে। সাবুদানা একটি শীতল প্রকৃতির
খাবার হিসেবে পরিচিত এবং শরীরকে শীতল রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে গরমকালে
সাবুদানা খেতে হয় কারণ সাবুদানা শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে
ঠাণ্ডা লাগা বলতে সাধারণত সর্দি কাশির মতো সমস্যা বোঝায়। আসুন বিস্তারিত জেনেনি
সাবুদানা খেলে ঠাণ্ডা জাতিয় সমস্যা হয় কি না।
সাবুদানায় এমন উপাদান রয়েছে যা শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখে এবং এটা সহজে হজমও
হয়। পায়েস বা ঠাণ্ডা ডেজার্ট হিসেবে সাবুদানা খেলে এটি শরীরকে আরাম দেয় এবং
ঠাণ্ডা রাখে। তবে ঠাণ্ডা লাগার যে সমস্যা অর্থাৎ সর্দি কাশির মতো সমস্যা সাথে
সাবুদানা খাওয়ার কোন সম্পর্ক নেয়। সাবুদানা খাওয়ার ফলে ঠাণ্ডা লাগে না বা এ জাতিয়
সমস্যা সৃষ্টি হয়না।
তবে আপনার যদি ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে শীতকালে বা ঠাণ্ডা আবহাওয়ার
সময় সাবুদানা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে বা পরিমানের তুলনায় কম খেতে হবে। যাদের
ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে তারা গরম দুধ বা মশলা যোগ করে সাবুদানা রান্না করে
খেতে পারেন। এতে ঠাণ্ডা লাগার কোন সুযোগ থাকবে না এবং শরিরকে উষ্ণ রাখতে পারে।
তবে সরাসরি শরীরে ঠাণ্ডা লাগার সাথে বা এই জাতিয় সমস্যা সৃষ্টির সাথে সাবুদানার
কোন সম্পর্ক নেয়। তবে সাবুদানা খাওয়ার পর যদি ঠাণ্ডা জাতিয় কোন সমস্যা অনুভব করেন
তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আসল সাবুদানা চেনার উপায়
আসল সাবুদানা চেনার উপায় সম্পর্কে জানবেন এই পোস্ট থেকে। বর্তমানে বাজারে অনেক
প্রকারের সাবুদানা পাওয়া যায়, তবে আমরা সঠিক বুজতে পারি কোনটা আসল এবং কোনটা নকল।
হয়তো উপকার পাওয়ার আশায় নকল সাবুদানা খেয়ে আমাদের শরীরে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা
দিতে পারে। তাই অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি যেনে আমাদের আসল সাবুদানা চিনতে হবে। আসুন
জেনেনি আসল সাবুদানা চেনার উপায় সম্পর্কে।
রঙ এবং আকার
-
আসল সাবুদানা সাদা, চকচকে এবং গোলাকার হয়
-
এর দানা একসঙ্গে আটকে থাকে না এবং দেখতে পরিস্কার হয়
-
নকল সাবুদানার রঙ মলিন বা হোলদেটে হতে পারে
ভিজানর পর পরীক্ষা
-
আসল সাবুদানা ভিজালে এটি নরম হয় এবং ফেটে না গিয়ে এটি ফুলে উঠে
-
নকল সাবুদানা অনেক নরম হতে পারে বা পানিতে ভেঙে আঠাল হয়ে যেতে পারে
জ্বালানোর পরীক্ষা
-
সাবুদানার একটি দানা আগুনে ধরলে এটি পোড়া প্লাস্টিকের মতো যদি গন্ধ ছড়ায়
তাহলে বুঝবেন এটি নকল। আসল সাবুদানায় এমন গন্ধ ছরায় না।
স্বাদ ও গুনগত মান
-
আসল সাবুদানা একটু মিষ্টি স্বাদের এবং রান্নার পর ঝরঝরে হয়
-
নকল সাবুদানার স্বাদ অস্বাভাবিক হতে পারে এবং রান্নার পর আঠালো হয়ে যায়
পানিতে দ্রবনের পরীক্ষা
-
সাবুদানা পানিতে রেখে দেখুন, যদি এটি অস্বাভাবিক ভাবে দ্রবীভূত হয় বা আঠাল
হয়ে যায়, তবে এটি নকল হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
ওপরের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে আপনি আসল নকল সাবুদানা পরীক্ষা করতে পারবেন।
অবশ্যই কিনার আগে ওপরের মাধ্যমগুলোর মতো করে চেক করে নিবেন। নয়তো নকল
সাবুদানা খেয়ে আপনার শারীরিক অবনতি ঘোটতে পারে। চেষ্টা করবেন বিশ্বস্ত কোন
ব্র্যান্ড বা দোকান থেকে কেনার জন্যে তাহলে আপনি সঠিক না আসল সাবুদানা পেয়ে
যাবেন। বাজার থেকে সাবধানতার সঙ্গে কেনায় উত্তম।
সাবুদানা কিভাবে তৈরি হয়
সাবুদানা কিভাবে তৈরি হয় জানবেন আজকের এই পোস্ট থেকে। সাবুদানা এক ধরনের বিশেষ
খাবার যা সাগু নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এই খাবার
বেশি চলে। সাবুদানা অনেক ছোট ছোট আকারের হয় তবে রান্না করার পর দানাগুলো দেখতে
মুক্তর মতো লাগে। রান্নার পর সাবুদানা নরম ও ঝিলমিল করে। অনেকে এই সাবুদানা
তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। আজকের পোস্ট থেকে সেই বিষয়টি
সম্পুর্ন জানতে পারবেন।
-
কাঁচামাল সংগ্রহঃ সাবুদানা তৈরিতে কাচা মাল ব্যবহিত হয় যেমন ক্যাসাভা
বা সাগু গাছের মূল ব্যবহার করা হয়।
-
মূল প্রক্রিয়াকরণঃ ক্যাসাভা গাছের মূল থেকে শর্করা বা স্টার্চ সংগ্রহ
করা হয় এবং মূলগুলো সম্পুর্ন পরিষ্কার করা হয় ও পরিপুর্নভাবে ধুয়ে নেওয়া
হয়।
-
স্টার্চ নিস্কাশনঃ ক্যাসাভা মূল নিস্কাশন করে জল দিয়ে মিশ্রিত করা হয়
এবং ফিল্টারিং পদ্ধতিতে স্টার্চ আলাদা করা হয়।
-
দানা তৈরিঃ তরল স্টার্চ ঘন করে ছোট ছোট দানা বা গোলাকার আকৃতিতে রুপ
দেওয়া হয়।
-
শুকানোঃ সাবুদানার দানাগুলো শুকিয়ে নেওয়া হয় জাতে এটি দির্ঘসময়
সংরক্ষণ করা যায়।
সাবুদানা পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাদ্য উপাদান যা কার্বহায়ড্রেড সমৃদ্ধ
এবং দ্রুত শক্তি সরবারাহ করে। আপনি আপনার স্বাদ অনুযায়ী বিভিন্ন ভাবে এটি খেতে
পারে যেমন খিচুড়ি, খির বা ভাজার জন্যে ব্যবহার করা হয়। ওপরের পদ্ধতিগুলো
অবলম্বন করে সাবুদানা তৈরি করা হয় এবং পরে প্যাকেটজাত করা হয়। সাবুদানা
দির্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায় এবং এর পুষ্টিগুনাগুন ও নষ্ট হয়না।
লেখক মন্তব্য-সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা
ওপরের সম্পুর্ন পোস্ট জুরে সাবুদানা খাওয়ার উপকারিতা এবং কিভাবে কখন খাবেন সহ
সাবুদানা সম্পর্কিত সকল বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হয়ছে। মূলকথা সাবুদানা
আমাদের শরীরের জন্যে অনেক উপকারি। আপনি যদি সঠিক ভাবে প্রস্তুতক্রিত এবং সঠিক
পরিমানে সাবুদানা গ্রহণ করেন তাহলে এটি আপনার শরীরের জন্যে একাধিক উপকার বয়ে
আনবে। তবে অবশ্যই নির্ভেজাল এবং পরিমান মতো করে খেতে হবে।
আপনি যদি দ্রুত শরীরে শক্তি চান বা ক্লান্ত সময়ে এটি খেতে পারেন অনেক ভালো কাজে
আসবে। এছাড়া সকল প্রকার উপকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আমাদের
পোষ্টের মধ্যে। এটি অনেক পুষ্টিকর এবং সহজপ্রাচ্য তাই যেকোনো রোগী বা দুর্বল
মানুষ রাও এটি খেতে পারবে এবং তাদের শক্তিশালি অনুভব করবে। আপনি কোন চিন্তা
ছাড়ায় সাবুদানা খেতে পারেন আপনার পুষ্টির জন্যে তবে অবশ্যই সঠিক পরিমানে,
প্রয়জনে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url