শেভ করলে কি দাড়ি গজায় জেনেনিন গোপন তথ্য
শেভ করলে কি দাড়ি গজায় এই প্রশ্ন অনেকের মনে কিন্তু কথাও কোন সঠিক তথ্য বা কার্যকারী উপাই খুজে পাচ্ছেন না। দাড়ি গজানো থেকে কিভাবে ঘন কালো হবে তা জানতে আজকের এই পোস্ট টি পড়ুন। চলুন বিস্তারিত আলোচনা করি
দাড়ি ছেলেদের মুখের সোন্দর্য তবে বয়স হয়া সত্তেও অনেকের মুখে দাড়ি গজায় না বা যদিয়ও গজায় অনেক পাতলা দাড়ি থাকে। এসকল সমস্যা হতে মুক্তি পেতে এবং মুখ ভর্তি ঘন কালো দাড়ি পেতে হলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্যে
পেজ সুচিপত্রঃ শেভ করলে কি দাড়ি গজায়
শেভ করলে কি দাড়ি গজায়
শেভ করলে কি দাড়ি গজায় প্রত্তেতটি ছেলের মনে এই প্রশ্ন থেকে থাকে। প্রত্যেকটি ছেলের ইচ্ছে বা সখ থাকে যে তাদের মুখ ভর্তি ঘন কালো দাড়ি থাকবে। তবে সথিক বয়স হওয়া সত্ত্বেও মুখে ঠিকঠাক মতো দাড়ি থাকে না। তবে প্রত্যেকদিন শেভ করে আপনি আপনার দাড়ি ঘন করতে পারেন এ ব্যাপারে কোন সঠিক মতামত নেই।তবে আমাদের এই পোস্ট এর নিচে দেয়া আছে দাড়ি ঘন কালো করার কার্যকারী উপায়গুলো।
অনেক আগে থেকে একটা কথা চলে আসছে যে ঘন ঘন শেভ করলে নাকি দাড়ি বের হয় এবং দাড়ি ঘন কালো হয়। তবে বেজ্ঞানিক ভাবে এই কথার কোন ভিত্তি নেই। গবেষক দের মতে শেভিং এর ফলে চুলের বা দারির ঘনত্ত বৃধি বা ঘন কালো হয়াতে কোন প্রভাব ফেলে না । দাড়ি বা চুল ঘন হবার পিছনে ডিএনএ কাজ করে থাকে। তবে এমন কিছু কার্যকারী উপায় আছে যা করে আপনি আপনার দাড়ি ঘন কালো করতে পারবেন।
কোন হরমনের অভাবে দাড়ি গজায় না
কোন হরমনের অভাবে দাড়ি গজায় না প্রথমে সেটি জানতে হবে তাহলে আপনি আপনার দাড়ি ঘন এবং কালো তে রুপান্তর করতে পারবেন। আমাদের শরীরে বিভিন্ন হরমন থাকে যার ফলে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন আসে। যেমন পুরুষদের দাড়ি গজানর জন্যে টেসটোসটেরন হরমন কাজ করে থাকে। শরীরে সঠিক পরিমানে টেসটোসটেরন হরমন থাকলে সঠিক সময়ে দাড়ি বের হবে।
পুরুষদের মুখে দাড়ি গজানর এবং মহিলাদের মুখে দাড়ি না গজানর পিছে যোন হরমন টেসটোসটেরন কাজ করে থাকে।মানুষের লোম কুপের বৈশিষ্ট মটেই সরল নই। তবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলে আপনি এই টেসটোসটেরন হরমন বৃধি করতে পারবেন ফলে আপনি আপনার দাড়ি চুল ঘন এবং কালো করতে পারেন। নিচে উপায় গুলো দেওয়া হলোঃ
বেদানাঃ আন্টি অক্সিদেন্ট এ ভরপুর বেদেনা প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।মানসিক চাপ শরীরের হরমনের মাত্রা অঠানামা করার অন্নতম কারন। নিয়মিত বেদানা খেলে মানসিক চাপ নিয়ত্রনে থাকে, যার ইতিবাচক প্রভাব পরে টেসটোসটেরন হরমন এর ওপর।
উদ্ভিজ দুধঃ সয়া, আমন্ড, অটসের দুধ শরীরে টেসটোসটেরন হরমন ক্ষরণ বৃধি তে সাহায্য করে। যাদের ল্যাকটজে এলারজি রয়েছে তাদের কাছে উদ্ভিজ দুধ থেকে ভালো উপাই হতেই পারে না,
তেলযুক্ত মাছঃ রুই কাতলা বোয়াল চিতলের মতো তেল যুক্ত মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে। হৃদ রোগ ভালো রাখার পাশাপাশি টেসটোসটেরন হরমন ক্ষমতা বৃধি করতে সাহায্য করে।
ডিমঃ অ্যামাইনো এসিড ও ভিটামিন ডি তে ভরপুর ডিম শরীরে টেসটোসটেরন হরমন ক্ষরণ বৃধি করে। ডিম প্রোটিন এর ভালো উৎস। রোজ ডায়েটে ডিম রাখা ভিসন জরুরি।
কলাঃ শরীরে টেসটোসটেরন হরমন বৃধি করতে প্রতিদিন কলা খেতে পারেন। নিয়মিত কলা খেলে শরীরে স্ফুতি আসে এবং শরীর চাঙ্গা থাকে।
ঘন ঘন শেভ করলে কি হয়
ঘন ঘন শেভ করলে কি হয় এই প্রশ্ন অনেকের মনে। তবে অনেকে আবার মনে করে ঘন ঘন শেভ করলে কি দাড়ি গজায় বা দাড়ি ঘন কালো হয়, তবে সেটা কত তা সঠিক সেটা সম্পর্কে আমরা অপরে আলোচনা করেছি। তবে মুখের দাড়ি বের করানর জন্যে বা ত্বক কে পরিস্কার উজ্জ্বল দেখানর জন্যে প্রতেকদিন শেভ করে আপনি আপনার ত্বক নষ্ট করে ফেলছেন না তো আসুন বিস্তারিত জানি।
অনেক আগে থেকে একটা কথা চালু আছে ঘন ঘন শেভ করলে মুখে ঘন কালো দাড়ি বের হয়, তবে বিজ্ঞানীদের মতে কথাটির কোন ভিক্তি নাই। উলটো প্রতিদিন শেভ করার ফলে আপনার মুখে হতে পারে অনেক সঙ্ক্রমিত রোগ। নিয়মিত শেভ করলে লমকুপ গুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় ফলে সেখানে বিভিন্ন জিবানু বাসা বাধে,সংক্রমণ ঘটায়।শেভ না করলে ক্রমস উন্মুক্ত দাড়ি গোঁড়া গুলো বন্ধ হয়ে আসে ফলে জিবানুগুলো মারা যায়।
চিকিৎসকের দাবি, ত্বকের সংক্রমণ হয় নিয়মিত শেভ করলে।ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি সহ ত্বকের নানা সমস্যার কারণ এই ঘন ঘন শেভ করা।তবে দীর্ঘদিন এভাবে শেভ করলে আর ও বড় ধরনের রোগ হয়ে জেতে পারে।চিকিৎসকের মতে ১-২ দিন অন্তর দাড়ি শেভ করা ভালো। দাড়ি শেভ করার পূর্বে রাতে মুখে ক্রিম লাগিয়ে রাখতে হবে।শেভ করার সময় ভালো সেভিং ক্রিম বাবহার করতে হবে এতে সংক্রমণ এর আশঙ্কা অনেকটায় কমে।
চাপ দাড়ি গজানোর উপায়
চাপ দাড়ি গজানোর উপায় রয়েছে। সঠিক নিয়ম মানলে আপনার ও মুখ ভর্তি ঘন চাপ দাড়ি গজানো সম্ভব। মুখভর্তি দাড়ি রাখার ইচ্ছে থাকলেও অনেক পুরুষ তা করতে পারেনা। কাঙ্ক্ষিত দাড়ি পাওয়ার ইচ্ছে পুরন হয় না। বাজারে এমন অনেক পণ্য পাওয়া যায় দাড়ি ঘন করার তবে তা তো কাজে আসেই না উলটো ত্বকের অনেক ক্ষতি করে ফেলে। যদি ঘন কালো দাড়ি চান তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্যে ।
- প্রত্যেকদিন শেভ করলে দাড়ি গজায় তথ্যটি সঠিক নয় এতে ত্বকের আর ও ক্ষতি হতে পারে।আপনাকে নিয়ম করে ৪-৬ সপ্তাহ পর পর দাড়ি কাটুন বা শেভ করুন এতে ঘন দাড়ি পাওয়া সহজ হবে
- সঠিক দাড়ি বৃধির জন্যে মুখের ত্বক পরিস্কার রাখা জরুরি। প্রত্যেকদিন ২-৩ বার হাল্কা গরম পানি বাবহার করে মুখটি পরিস্কার করে নিবেন,এতে নতুন দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে ফলে দাড়ি ঘনত্ব বৃধি পাবে,
- মুখে কোঁকড়ানো দাড়ি থাকলে ম্যাসাজ করুন নিয়মিত তাহলে কোঁকড়ানো দাড়ি গুলো থাকবে না কারণ কোঁকড়ানো দাড়ি গুলো অন্য দাড়ি গজাতে বাধা সৃষ্টি করে, কোঁকড়ানো দাড়ি কমে গেলে নতুন দাড়ি গজাবে ফলে দাড়ির ঘনত্ব বৃধি পাবে
- প্রতিদিন দিনে ২-৩ বার ম্যাসাজ করুন ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃধি পাবে ফলে দাড়ি বাড়বে দ্রুতই
- স্ক্রাব করতে পারেন এতে আপনার মুখ পরিস্কার থাকবে এবং মৃত কোষ দূর হবে ফলে নতুন দাড়ি গজাবে আর দাড়ি ঘনত্ব বৃধি করবে
চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম
চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম কি আছে? উত্তর হলো হ্যাঁ। বাজারে অনেক পণ্য পাওয়া যায় জেগুলা দাবি করে মাত্র কয়েকদিন এর মধ্যে মুখ ভর্তি ঘন কালো দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে কিন্তু বেশির ভাগ পণ্য নকল এবং ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর। বিষয়টা যখন ত্বকের তখন অবশ্যই ভালো পণ্য নিসচিত করে বাবহার করতে হবে। যদি মুখ ভর্তি দাড়ি চান ক্রিম বাবহার করে তাহলে আজকের এই পোস্ট আপনার জন্যে।
আপনি ক্লিনজিৎ মিল্ক বাবহার করতে পারেন এতে ইউক্যালিপটাস দেয়া আছে, এরকম ময়েশ্চোরায়জার বাবহার করলে দ্রুত দাড়ি গজাবে। এছাড়া মিনক্সিডিল নাম এ একটা স্প্রে রয়েছে এতা চুল বা দাড়ি ঘন করতে অনেক উপকারি। মাথার চুল গজানোর ক্ষেত্রে এবং মুখের দাড়ি ঘন করতে আপনি এই মিনক্সিডিল নামক স্প্রে প্রতিদিন নিয়ম করে বাবহার করুন, খুব তারাতারি চুল এবং মুখের দাড়ি ঘন হয়ে যাবে।
কত বছর বয়সে দাড়ি বা গোঁফ গজায়
কত বছর বয়সে দাড়ি বা গোঁফ গজায় এটি নির্ভর করে শরীরে হরমন এর ওপর। তবে নির্দিষ্ট সময় ও রয়েছে দাড়ি বা গোঁফ বের হবার। মুলত দাড়ি হলো গাল থুতনি এবং ওষ্ঠের নিচের অংসের চুল কে বোঝায়।দাড়ি এবং গোঁফ এক জিনিস না ঠটের নিচে এবং আসপাশের চুল কে দাড়ি বলা হয় এবং ঠটের ওপরে এবং নাকের নিচের অংশে যে চুল গজায় টা কে গোঁফ বলা হয়।
পুরুষদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হবার পর থেকে মুখে আস্তে আস্তে দাড়ি গোঁফ বের হতে শুরু করে। তবে অনেক এর একটু তারতারি বের হতে পারে শরীরে হরমন এর ফলে এবং অনেক এর অনেক দেরিও হতে পারে। তবে ২১ বছর বয়স থেকে বা এর মধেই মুলত সকল পুরুষদের দাড়ি এবং গোঁফ বের হওয়া শুরু হয়ে যায়। যদি দাড়ি ঘন করতে চান তাহলে আমাদের এই আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
শেভ করার পর দাড়ি গজায় কেন?-প্রথম বার শেভ করলে কি হয়
শেভ করার পর দাড়ি গজায় কেন? এর সঠিক উত্তর অনেক সহজ।আপনার বয়স হওয়া সত্ত্বেও মুখে জদি হাল্কা দাড়ি থেকে থাকে এবং আপনি যদি একবার ও শেভ করে না থাকেন তাহলে দ্রুত শেভ করে ফেলুন দেখবেন আগের তুলনায় মুখের দাড়ির ঘনত্ব অনেক টাই বেড়ে গেচে । তবে দাড়ি ঘন করার জন্যে এটি প্রতেক দিন করবেন না এতে মুখের ত্বকের অনেক ক্ষতি ও নানা রোগ হতে পারে।
প্রথম বার শেভ করলে কি দাড়ি গজায়, শেভ এর পর আপনি আপনার মুখে দাড়ির ঘনত্ব তার পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন কারণ শেভ করলে আপনার মুখ এবং লমকুপ পরিস্কার হয়ে যাই ফলে লোম কুপ থেকে লোম বা দাড়ি বাধা ছাড়া বের হয়ে আসে ফলে দাড়ি ঘন লাগে। এছাড়া প্রথম অবস্থায় মুখে অনেক কোঁকড়ানো দাড়ি থাকে যা অন্য নতুন দাড়ি গজাতে বাধাপ্রাপ্ত করে, শেভ করার ফলে কোঁকড়ানো দাড়ি আর থাকে ফলে নতুন দাড়ি সহজে গজাতে পারে।
পেয়াজের রস কি দাড়ি গজায়
পেয়াজের রস কি দাড়ি গজায় এর উত্তর হলো হ্যাঁ । পেয়াজের রস দাড়ির ঘনত্ব বৃধি করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রাকিতিক উপায়ে এবং বাজারের কোন ভুলভাল পণ্য বাবহার না করতে চান তাহলে পেয়াজের রস বাবহার আপনার জন্যে অনেক উপকার হবে। সঠিক নিয়মে বাবহার করলে এটি আপনার দাড়ি গজাতে সাহায্য করবে । আসুন বিস্তারিত যেনে নি
দাড়ির বৃধি এবং ঘন করার জন্যে পেয়াজের রস এর বাবহার অন্যতম সেরা উপায়। কারণ পেয়াজের রসে রয়েছে অ্যাালিসিন যা একটি এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট যা আপনার ত্বকের প্রদাহ কমায়। অ্যাালিসিন, কোষের পুর্ন জন্ম বা মৃত কোষ পরিস্কার করে নতুন কোষ তৈরি হতে সাহায্য করে। যার মানে হলো পেয়াজের রসের বাবহার আপনার চুল বা দাড়ি গজাতে ও ঘন করতে দ্রুত সাহায্য করে।
রসুন খেলে কি দাড়ি গজায়
রসুন খেলে কি দাড়ি গজায় এরকম অনেক প্রশ্ন আপনাদের মনে । দাড়ি সম্পর্কিত সকল সঠিক তথ্য জানতে আজকের এই পোস্ট টি প্রথম থেকে সম্পূর্ণ পড়ুন। প্রতেকটি পুরুষ চাই মুখে ঘন কালো দাড়ি হবে । তবে বিভিন্ন সমস্যা বা হরমনের অভাবে মুখে ঘন দাড়ি থাকে না। তবে বেশ কিছু নিয়ম মানলে কিন্তু ঘন দাড়ি পাওয়া সম্ভব। এয়সব নিয়মের মধ্যে রসুন খাওয়া একটি চলুন যেনে নি রসুন খেলে কি দাড়ি গজায়।
আপনার মুখে রসুন ঘষে বা নিয়মিত রসুন খেয়ে দাড়ি গজাবে বা দাড়ি ঘন হবে এরকম কোন তথ্য বেজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত না ।তবে রসুনের নির্দিষ্ট অনেক গুনাগুন রয়েছে। তবে এমন কনো প্রমান নেই যে মুখের চুল বা দাড়ি গজাতে বা ঘন করতে রসুন উদ্দিপিত করে । দাড়ি গজাতে বা ঘন করতে শরীরের টেসটসটেরন হরমন কাজ করে থাকে । রসুন কোন ভাবেই এই হরমন কে উদ্দিপিত করতে পারে না।
লেখক মতামতঃ শেভ করলে কি দাড়ি গজায়
ঘন কালো দাড়ি হয়তো প্রত্যেকটি ছেলের চাহিদা বা ইচ্ছে। তবে আমার মতামত হলো এমন কিছুই করা যাবে না জাতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হয় । এছাড়া ভুলভাল পদখেপ নিলে হয়তো ত্বক এ নানা রোগ হয়তে পারে। চাইলে আপনি বিভিন্ন প্রাকিতিক উপায় বা অসুধ বাবহার করতে পারেন যা আপনার দাড়ি ঘন করতে সাহায্য করতে পারে । তবে যা করবেন সেগুলার পারশপ্রতিকিয়া ভেবে করবেন। আশা করি আজকের পোস্ট আপনার জন্যে উপকারি ছিল।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url